অতীতের কিছু স্মৃতি
প্রায় ১০-১৫ বছর আগে প্রতি বর্ষা ও বর্ষার পরে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাধে ব্যাগ, সাইকেল, চালের বস্তা ইত্যাদি নিয়ে নদী পারা-পার ছিল একসহজ সরল জীবন ৷
এখন তা অতীত…
ছবিটি দেখে মনে পরে গেল সেই ১০-১৫ বছর আগের কথা;
বর্ষাকালে বুড়িবাসরা নদীর দু-কুল ভরা জলোচ্ছ্বাস ঢেউ ৷ তিন-চার দিন বাজার বন্ধ৷ ছোট্ট শিশুর ক্ষুধার কান্না…
তিনদিকে জলদাপাড়া-চিলাপাতা-মেন্দাবাড়ি’র গহীন অরণ্য অন্যদিকে বুড়িবাসরা নদীর যৌবন রূপ ধারণ…
বাড়ির কর্তারা শিশু’র ক্ষুধার্ত ও সংসারের খাদ্যাভাব অনশন দেখতে না পেয়ে শেষে প্রাণের ঝুকি নিয়ে কেউ দীর্ঘ ৪-৫ কিমি গভীর অরণ্যে জল পূর্ণ রাস্তা বেছে নিত যেখানে বনপশুর বিপদ অন্য দিকে দু-কুল ভরা নদী পারা- পারে প্রাণে ঝুকি, যেখানে অনেকেই নিজের বাজার করা খাদ্যসামগ্রী ভাসিয়ে দিয়েছে বুড়ি’র বুকে…
বর্ষা কমলেই গ্রামবাসীদের খোঁজ চলত পার-পারের আরেকটা নতুন ঘাটের সন্ধানে…
এই দুর্দশা চলত বছরে প্রায় দু-তিন মাস…
বাকি সাত-আট মাস নদী পারা-পার
কত ভোট গেল কত ভোট আসল…
কত আন্দোলন কত বিদ্রোহ
কতই ভোট বয়কট…
কাজের কাজ কিছু হত না…
শান্ত্বনা পুরষ্কার হিসেবে মিলত সারা-বছর বিদ্রোহের পর…. এপ্রিল-মে মাসে বাঁশের সাঁকো ৷
যেটা কিনা আবার জুনমাসের প্রথম বর্ষাতেই নদীর জলের স্রোতে উড়ে যেত ৷
ছবি – লেখক