অন্তিম বোসের কবিতা
বিষ তখন’ও ছিলো অন্ধকার তখন’ও ছিলো শীত মনগহনের জটিলতায় একমুঠো জোনাকির গীত ডুব দিয়েছিল নদীর ধারে, আকাশে বোরোলিন জলে ভেসেছিল যেন কার শব? হৃদয় যেন দেখেছিল কারে? কী কাজে ডেকেছো…
বিষ তখন’ও ছিলো অন্ধকার তখন’ও ছিলো শীত মনগহনের জটিলতায় একমুঠো জোনাকির গীত ডুব দিয়েছিল নদীর ধারে, আকাশে বোরোলিন জলে ভেসেছিল যেন কার শব? হৃদয় যেন দেখেছিল কারে? কী কাজে ডেকেছো…
হে পূর্ণ তব ১ তোমাকে কেউ কোনদিন ছুঁতে পেরেছে? অন্ধকার নদীর কিনারে পঞ্জরের কাঁখে কোলে হাওয়ার হুহু শব্দ… সমস্ত সভ্যতা, ইতিহাস ও নন্দনের হাঁফ ধরার করুণ বিজনবাণী তোমার হাতে আমার…
ভালো হয়ে ওঠো শ্রাবণ চোখের কোণ বেয়ে নেমে যাওয়া দুপুরের রোদে স্নান সেরে বুলবুলি পাখির মতো ঝুঁটি ছড়িয়ে দেওয়া চঞ্চলতায় ঘাসের নরম কাটার ভাঁজে শুইয়ে রাখা বিকেলে তুমি ভালো হয়ে…
গুরু আলাপন শিক্ষা হলো অগ্রগতি নতুন এক দীক্ষা গুরু ছাড়া হয় না এই অগ্নিপরীক্ষা শিষ্যের পেছনে গুরুর থাকে বিরাট অবদান এই ঋণের কোনদিনও হয় না অবসান পিতামাতার পরেই আসে গুরুর…
যাকে চেয়েছিলাম তাকে যাকে চেয়েছিলাম তাকে পেলাম না যে-ঘাট ছাড়ে নৌকা তাতে গেলাম না কপাল আমার মন্দ তাতে সন্দেহ কি চোখ বুজলে প্রিয় কেবল তোমায় দেখি ফুলগাছে জল দিলাম তাতে…
ইন্তেকালের ইস্তাহার ১ গানটুকু বাদ দিলে যে একাকী সুর পড়ে থাকে তাকে বলে দিও যাবতীয় বর্ষার দায় তার ছিল। ২ এ তো আর নতুন নয় বিচ্ছেদ ও বর্ষা, বাকি সব…
বিষণ্ণতার বাইরে আমাদের আর অন্ধকারে ছোঁবে না বিষন্নতার বাইরে এসেছি আমরা কুয়াশার ভার কেটে গেলে পৃথিবীর সব রঙ ছড়িয়ে পড়ে আলোয় হাওয়ায়… জোড়াতালি দেওয়া স্যাঁতস্যাঁতে ভাবনাগুলো রোদের মুখ দেখে পুরোনো…
ছাদ গোটা ছাদ জুড়ে লেগে থাকে নুনের দাগ । অ্যান্টেনার গায়ে অস্পষ্ট শিলা বৃষ্টির সময় আঁকা। এ কোণ থেকে অন্য কোণ বাঁশে লাগান দড়ির উপর লাল নীল সবুজ সুতোর পুরাতন…
আলোকবর্ষ আমাদের মাঝে আছে এক আলোকবর্ষ প্রতিবার ফিরে ফিরে গেছে বুকের প্রতিধ্বনি তোমারই কাছে গোঙানি হয়ে.. আলাদা হেঁটে গেছে দুটো পথ যেখানে বৃষ্টির মতো করে সন্ধ্যা নেমেছে। হৃদয়ের কুয়ো ঘিরে…
কালযাত্রী ঝাপসা সময়ে বেড়ে ওঠা এক নর-নারী স্বপ্নের লোনা জলে ধুয়ে গেছে তাদের শরীর টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে তাদের আস্তিন বেয়ে ভীত হরিণীর মতো কালো শিরা এদিক ওদিক থেকে…