বিছানা ছেড়ে উঠে কাঁচের শার্সি তে নাক ঠেকিয়ে দাঁড়ালাম। ঘুম ভেঙে গেছে ভেসে আসা গানের সুরে। শার্সিতে বিন্দু বিন্দু বাষ্প জমেছে। বাইরে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি তুষারপাত। আজ আর একটু পরেই শুরু হবে নতুন একটা বছর। কোথায় যেন এই বছরের শেষ প্রহরের ঘন্টা পড়ছে শুনতে পাচ্ছি। ঢং ঢং ঢং। কাঁচের জানালা ভেদ করে ভেসে আসছে গানের সুর। দুহাত দিয়ে ঝাপসা কাঁচ মুছে জানালা দিয়ে তাকালাম নীচের দিকে। সর্পিল পাহাড়ী রাস্তার ঢাল ধরে দল বেঁধে চলেছে কিছু মানুষ। তাদের হাতে ধরা মোমবাতির আলো পাউডারের মতো মিহি তুষারকে উপেক্ষা করে ঝিলমিল করে উঠছে। কি গাইছে ওরা? ওরা তো ক্যারোল গাইছে। প্রভু যীশুর প্রশস্তি গাথার মিষ্টি সুর পাহাড়ী পথে ঘুরে ঘুরে নেমে যাচ্ছে আরোও নিচের দিকে। দুষ্টু কখন যে ঘুম ভেঙে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে জানতেই পারিনি। অন্যঘরে ঋজুর মোবাইলে বোধহয় ফোন করছে কেউ নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে। সুর বাজছে উষ্ণ ঘরের ওম মেখে। “জিঙ্গল বেল, জিঙ্গল বেল, জিঙ্গল অল দ্য ওয়ে….” এরপর যখনই কোথাও এই সুরটা শুনতে পাব আমার স্মৃতির অতল থেকে ভেসে উঠবে মানেভঞ্জনের এই বছর শুরুর মধ্যরাতটা। দুহাজার তিন সাল শুরু হলো। আমার দেখা প্রথম তুষারপাত তখন অবিরাম ঝরে চলেছে পৃথিবীর বুকে ঈশ্বরের আশীর্বাদের মত।
গতকাল শেষ বিকেলের মুখে মানেভঞ্জন এসে পৌঁছেছি আমরা। আমি, দুষ্টু, পাপা, ঋজু আর সঙ্গে ঋজুর এক ছাত্র শুভ। ঋজু একজন অভিজ্ঞ পর্বতারোহী। আমাদের এই ছোট্ট দলটার একাধারে দলপতি এবং গাইড ও সে। আমাদের প্ল্যান ট্রেকরুট ধরে আমরা যাব এই পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফু। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা বারো হাজার ফুট। সান্দাকফু মানে বিষাক্ত লতার পাহাড়। এখানে জন্মায় অ্যাকোনাইট আর হেমলক গাছ।
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাবার পথে পড়ে ঘুম স্টেশন। ঘুম থেকে বাঁদিকে ঘুরে চলে গেছে মিরিক যাবার পথ। কিছুটা যাবার পর আসবে সুকিয়াপোখরি। সুকিয়া থেকে মিরিক যাবার যে রাস্তা সেটা ছেড়ে দিয়ে ডানদিকের রাস্তা ধরে সোজা পৌঁছে যাওয়া যায় মানেভঞ্জন।
ছোট্ট একটা পাহাড়ী শহর মানেভঞ্জন। শহর না বলে গ্রাম ও বলা চলে। সমুদ্রতল থেকে প্রায় ছয় হাজার ফুট উঁচু এই জায়গাটি মুখ লুকিয়ে আছে পাহাড়ের কোলে। হিমালয়ের ছায়ার নীচে। ঠিক যেন “ছায়ার ঘোমটা মুখে টানি আছে আমাদের পাড়াখানি”। সূর্যের আলো এখানে আসে দেরীতে আবার চলেও যায় খুব দ্রুত। কনকনে উত্তুরে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে সারাদিন হু হু করে।
যে বাড়িতে আজ রাতটার জন্য উঠেছি আমরা তার মালকিন পেম্বা লেপচা আমাদের জন্য বানিয়েছিল ঘরে তৈরী থুপ্পা। গরম গরম একবাটি করে থুপ্পা খেয়ে পিঠের বোঝাগুলো পেম্বা দিদির জিম্মা করে বেরুলাম আমরা জায়গা টা ঘুরে দেখতে। হাতের পাতার মত ছোট্ট শহর। তার আবার আপার লোয়ার ভাগ ও আছে। মানে রাস্তা টা যেদিকে উচুঁ হতে হতে চিত্রের রাস্তা ধরে সান্দাকফুর দিকে উঠে গেছে সেটা আপার মানেভঞ্জন। আর সেই রাস্তাটাই যেখানে ঢালুর দিকে নেমে চলে গেছে মিরিকের অভিমুখে সেটাই হলো লোয়ার। ঘুরে ফিরে দেখছি। এখনকার বেশিরভাগ লোকই ট্রেকার্স দের সঙ্গে গাইড কিংবা পোর্টারের কাজ করে। অনেকেই এসে জিজ্ঞেস করছে গাইড লাগবে কিনা। কিংবা গাড়ি চাই কিনা। গাড়ি বলতে সেই মান্ধাতার আমলের লঝঝড়ে ল্যান্ড রোভার। তাতে চেপে পাহাড় চড়তে গেলে মনে হবে প্রাচীন সেই যান এই বুঝি ঝাঁপ দিল শূন্যে। কিন্তু পাহাড়ী ড্রাইভার ঠিক স্টিয়ারিং সামলে গাড়িকে ফিরিয়ে আনবে মাটির বুকে। কিন্তু সাংঘাতিক ঝাঁকুনির চোটে শরীরের অবস্থা হয় সঙ্গীন। অবশ্য এখন শুনেছি পাথরের চাঙড় উঠিয়ে ঝাঁ চকচকে কংক্রিটের রাস্তা হয়েছে। সান্দাকফুর সেই বিস্তৃত নির্জনতাও এখন বিলীন হয়েছে শৌখিন ট্যুরিস্টদের ভিড়ভাট্টায়। বলাই বাহুল্য যাত্রাপথ সুগম হওয়ায় ফল ফলেছে। তবে আমি যে দুবার গিয়েছি হেঁটে যাওয়াই ছিল আরামদায়ক। আর মনেপ্রাণে অনুভব করেছি আদিগন্ত বিস্তৃত নির্জন প্রান্তরের ওপরে অজস্র নক্ষত্র ছেটানো বিশাল এক আকাশ। কিংবা দুপুরের নরম তাপ মেখে ঘাসের বিছানায় শুয়ে শুনেছি বহুদূর থেকে ভেসে আসা চমরীগাইয়ের গলায় বাঁধা ঘন্টার মৃদু টুং টাং শব্দ। সেই বিশাল আকাশ, গড়িমসির আদরমাখা ঘাসের বিছানা কিংবা হাঁটু ডুবে যাওয়া রাশি রাশি রজতশুভ্র তুষারে ঢাকা পথ মনের ভেতরে অনেক খানি আকাশ আর নির্জনতা ভরে দেয় যেন। আর পটভূমিকায় আমাদের প্রিয়তর সেই সোনার পাহাড়। মনে হয় এই নশ্বর পৃথিবীর সব হিসেব নিকেশ চিরতরে চুকিয়ে দিয়ে আসন পেতে বসি এই বিশালের পায়ের কাছটিতে। গাড়ি আমাদের লাগবে না। শুনলাম এখনও শুধু তুমলিং অবধি ই যাচ্ছে গাড়ি। কিন্তু যে হারে বরফ পড়ছে আগামী দুদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে গাড়ির রাস্তা। জোবাড়ী, গৈরীবাস ,কাইয়াকাটা, কালিপোখরির রাস্তা নাকি বরফের নীচে। আমার কিনতে হবে একজোড়া জুতো। যে জুতোটা পরে আছি সেটির অবস্থা শহরের রাস্তার পক্ষে বেশ ভালো হলেও এই পাহাড়ী পথে মোটেই ভরসা যোগ্য নয়। তুষারপাত শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে। সুতরাং রাস্তা থাকবে পিছল। আসলে এই বরফ দেখতেই তো আমাদের আসা। আর এত দুম করে হ’ল প্ল্যান টা যে কিছু গোছগাছ করার সময়ই পাইনি। হাতের কাছে যা পেয়েছি রুক স্যাকে ঠুসে বেরিয়ে এসেছি।
পাহাড়ী গ্রামের এইসব দোকানগুলো আমার খুব মজার লাগে। দোকানীর ঘরগেরস্থালি আর ব্যবসা একদম একসাথে। দোকানের একদিকে কোমর সমান মাটির চুলায় চা ফুটছে। আগুনের পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে আছে পোষা কুকুরটি। অন্যদিকে সাজানো চাল ডাল মশলাপাতি বিস্কুট সিগারেট। পাশেই ঝুলছে পশুপতি মার্কেটের রঙীন ছাতা, চাবির রিং, চে’র মুখ ছাপানো বাহারি টি শার্ট, মাথার স্কার্ফ। চাইলেই বের করে দেবে মাথাধরা কি জ্বরের ওষুধ। অন্য দিকে ডাঁই করা প্লাস্টিক আর তামার তৈরী নেপালী ডিজাইনের বাসন। দেখেশুনে এক জোড়া জুতো কিনলাম। নর্থস্টার। আর নিলাম ওয়াটারপ্রুফ কাপড়ের একটা লোয়ার। আমার যে সবেধন জিন্স টা পরে মাঠে ঘাটে নেচে বেড়াই সেটা এখানে কোনো কাজে লাগবে না। আসলে পাপা দুষ্টু আর আমি এই তিন সখীর এইটাই প্রথম high altitude trek। সুতরাং কোনো অভিজ্ঞতা ই নেই বরফ মাড়িয়ে হাঁটার ব্যাপারে। আমাদের আনাড়ী পনায় আমাদের দলপতি রীতিমত বিরক্ত। তার কথামতই এইসব কেনাকাটা। সাথে বেশ কিছুটা চকলেট আর বার্বান বিস্কুট ও কিনলাম। এনার্জি যোগাবে ক্লান্ত হলে। ঋজু খানিকটা প্লাস্টিক কিনল। বলল বরফ ভেঙে হাঁটার সময় মোজার উপর জড়িয়ে নিলে মোজা ভেজার নো চান্স। পাপা আর দুষ্টু কিনল এক জোড়া করে গরম হাতমোজা। দোকানীর মোটাসোটা ফর্সা বউ আমাদের সর পড়া ঘন দুধের চা খাওয়ালো আদর করে। আলো মরে এসেছে ততক্ষণে। পাহাড়ে আলো ফুরোলেই ঝপ করে ঝাঁপ দিয়ে নেমে আসে অন্ধকার। আমরা চিত্রে যাবার রাস্তাটা অবধি গিয়ে ফিরে আসলাম। কাল ওখান থেকেই শুরু হবে আমাদের পথ চলা।
এইখানে স্থানীয় লোকেরা নিজেদের ঘরেই ট্রেকার আর ট্যুরিস্টদের থাকতে দেয়। অনেক টা ‘হোম-স্টে’ স্টাইলে। 2003 এ আমি তেমন কোনো হোটেল দেখিনি। হয়তো এতদিনে হোটেল লজ এসবের ভালো ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু আমি গেলে আবারও খোঁজ করবো পেম্বাদিদির বাড়ির। রাতের ডিনারে ফুলকো ফুলকো হাত রুটির সাথে পাতে পেলাম চিকেনকারি ,আলুভাজা আর স্যালাড। নিউইয়ার ইভ উপলক্ষে পেম্বাদিদির বড় মেয়ে লাজেন বানিয়েছে কেক। আমাদের ভাগ্যেও জুটে গেল এক এক টুকরো। বাড়ির কর্তা বৃদ্ধ ছাং এককালে মাউন্টেনিয়ার দের সাথে শেরপার কাজ করতেন। এভারেস্ট সামিটেও গেছেন বার পাঁচেক। আমাদের টেবিলে এসে বসলেন হাতে রক্সির গ্লাস নিয়ে। শুরু করলেন তার সোনালী দিনের গল্প। রক্সির নেশা যত চড়ছে, গলার আওয়াজ চড়ছে পাল্লা দিয়ে। পেম্বা দিদির হাতে তৈরী এই স্থানীয় নেশার তরলটির বেশ কদর আছে দেখলাম। গুটি গুটি এসে হাজির দু একজন রক্সিলোভী। বুঝলাম ট্যুরিস্ট রাখার পাশাপাশি রক্সি বিক্রিও এই পরিবারের আর একটি আয়ের উৎস। বাড়ির ছোট মেয়ের বিয়ে হয়ছে নেপালে। আসলে সন্দাকফু যাবার ট্রেকিং রাস্তার এক পাশে নেপাল আর অন্য পাশে ভারত। মাঝখানে সীমানা বলতে কিছুটা পর পর দেখা যায় সিমেন্টের ছোট ছোট পোল। কাল সকালে রওয়ানা দিয়ে আমরা যাবো তুমলিং। হাঁটতে হাঁটতে পার হবো চিত্রে, মেঘমা। চিত্রে তে যে গুম্ফা টা আছে ,শুনেছি সেখানে এসেছিলেন দলাইলামা। ওই গুমফা চত্বরের ছোট্ট একটা পুকুরের জল খুব পবিত্র এই অঞ্চলের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে। মানেভঞ্জন থেকে মেঘমা র দূরত্ব সাত কিলোমিটার। হেঁটে যেতে সময় লাগে মেরে কেটে সাড়ে তিন ঘণ্টা। আমার মতো মেয়ের হয়তো লাগবে আর একটু বেশী। ক্লাস সেভেনের শুভ টা খুব ইয়ার্কি মারছে সকাল থেকেই। আমাকে পারলে ও কুমড়ো গড়গড়ি বানিয়ে দেয় আর কি। মনে মনে বলছি দাঁড়াও বাচ্চা। হাঁটা তো শুরু হোক আগে। তারপর দেখছি কার কত দম। মেঘমা যেন মেঘের তৈরী ঘর। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্তি বোধ করলে রাস্তার পাশের ছোট্ট দোকানের বারান্দায় বসে সুলুক সুলুক করে খাব ধোঁয়া ওঠা ওয়াই ওয়াই সুপ। মেঘ এসে জড়িয়ে ধরবে গলা। জুতো খুলে স্যাঁতসেঁতে মোজা বদলে নেবার অছিলায় আঙ্গুলে মেখে নেব মেঘলা আদর। আর একটু এগিয়ে গিয়ে থামব তুমলিং আর টংলুতে। টংলু ভারতের গ্রাম। এখানে আছে সরকারি বাংলো। আর তুমলিং পড়েছে নেপালে। সিঙ্গালিলা অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে পাথরের চাঙড় বিছানো এবডো খেবড়ো রাস্তা এঁকে বেঁকে চলে গেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে। আমরা আদর করে যাকে ডাকি স্লিপিং বুদ্ধা। এই সিঙ্গলিলার বাঁশের জঙ্গল পৃথিবী বিখ্যাত রেড পান্ডার জন্য। প্রায ১২ থেকে ১৫ রকমের বাঁশের প্রজাতি আছে এখানে৷ আছে নানান বন্যপ্রাণ ৷ গ্রেট ইন্ডিয়ান হর্ণবিল আর হিমালয়ান বেয়ার ও দেখা যায় এই জঙ্গলে ৷ তবে এই আবহাওয়ায় তাদের দেখা পাওয়া একটু মুশকিল। তুমলিং এ আমরা থাকব কাল নীলাদির ‘শিখর’ লজে। আমাদের নেচার স্টাডি ক্লাবের সব্বার খুব প্রিয় এই নীলা দি। এই যে পেম্বাদিদি,আমাদের এইমাত্র জোর করে এককাপ গরম চমরী গরুর দুধের চা খাওয়াচ্ছে, নীলা হলো এরই তুত বোন। ডিনার শেষে উপহার পেলাম একমুঠো ছুরপি। চমরীগাইয়ের দুধ জমিয়ে তৈরী হয় এই ছুরপি। মুখে রাখলে অনেকক্ষণ ধরে আস্তে আস্তে গলতে থাকে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শরীরের তাপমাত্রা ঠিকঠাক রাখতে পাহাড়ী মানুষ মুখে রাখে এর একটা টুকরো। আমার তো ভীষণ ভাললাগে। রান্নাঘরের আগুনের পাশে ততক্ষণে জমে উঠেছে আড্ডা। বুড়ো ছাং বসেছে রাতের খাবারের থালা নিয়ে। হাত ঘড়িতে সময় দেখলাম মোটে সাড়েসাত টা।
ভাবা যায়। শিলিগুড়ির কথা ভাবছি। সবে সন্ধ্যা নেমেছে আমার শহরে। আর এখানে মনে হচ্ছে গভীর রাত। বাইরের তাপমাত্রা প্রায় মাইনাস চার। আগামীতে আরও নেমে যাবে। আমাদের দলপতি তাড়া লাগায় আমাদের। কাল সক্কাল সক্কাল উঠে বেরুতে হবে। যতো দিন বাড়বে রোদ্দুর গলিয়ে দেবে বিছিয়ে থাকা নরম তুষার। পথ চলা ততই হয়ে উঠবে কষ্টকর। কালকের যাত্রার টুকটাক জিনিস ও তো গুছিয়ে রাখতে হবে আজকেই। আমরা ফিরে আসি আমাদের ঘরে। আমরা তিনটি মেয়ে আজ শুয়েছি দোতলার বড় ঘরে। ছেলেদুজনের ব্যবস্থা বাড়ির বড় ছেলের ঘরে। আমাদের ঘরে জানলার কাঁচ দিয়ে দেখা যাচ্ছে দূরে ঝিকমিক করেছে পাহাড়ী গ্রাম। আর রান্নাঘর থেকে ভেসে আসছে গানের সুর। “রেশম ফিরি রি…রেশম ফিরি রি…. উড়ের যাউকি ডাঁড়া মা ভঞ্জান রেশম ফিরি রি..