অনিন্দ্য পালের তিনটি কবিতা
পাঙ্খাওয়ালা তোমার দাঁতে চুন-সুপারি খয়েরের দাগ পানপাতার সবুজ মেলে না সেখানে হাসতে চাওনা মুখের ভিতরে চল্লিশ বছরের ক্যামোফ্লেজ তবু তুমি গিরগিটিকে আত্মীয় মানো না কোমর বাড়তে বাড়তে এখন বুকসমান শরীরে…
পাঙ্খাওয়ালা তোমার দাঁতে চুন-সুপারি খয়েরের দাগ পানপাতার সবুজ মেলে না সেখানে হাসতে চাওনা মুখের ভিতরে চল্লিশ বছরের ক্যামোফ্লেজ তবু তুমি গিরগিটিকে আত্মীয় মানো না কোমর বাড়তে বাড়তে এখন বুকসমান শরীরে…
ছত্র খন্ড বাইরের গর্জন থেমে গেছে দেখে ছাতা নিয়ে বেরিয়ে পড়ি, অনেকটা সুর লাগিয়ে যে বুড়ো লোকটা তোমার নাম ধরে ডেকে গেছে, আমি তার খোঁজে আজ কুঁয়োতলায় উঁকি মারব— সন্ধ্যের…
১ এই যুগক্ষণে আমাকে একলা থাকতে দাও। আমার কবজি ঘুরে চলে খালি, অন্ধ পায়রার শোকমিছিল জুড়ে জুড়ে। তারপর সতত ধমনীর গ্লানি, ঢুকিয়ে দিচ্ছ আমার শিরায়, ভয়াবহ জবরদস্তি গানে। আমি তো…
১ শোকাহত মন বিষণ্নতায় মুহ্যমান চারিদিক এখন অবসরের পালা সময়ের, শুধুমাত্র ওপরের বারান্দায় সিলিং বেয়ে আসছে রোদ টুকু ভাঙা চেয়ারে… ২ সময় গুনেছে প্রহর রাত জাগা স্বপ্ন দেখেছে কালজয়ী ইতিহাস…
সরস্বতী মহাভাগে ক্ষয়ে আসে সব… ঠিক যেন মরা বিকেলের ফিকে হয়ে আসা আলো, বয়ে নিয়ে আসছে গতদিনের খবর। সারি সারি আঁধার বন্ধ জানলা, দরজার ফাঁক দিয়ে গলে এসে আমার ঘরে…
১ ছুতমার্গ যদি দৃঢ় হয় আজীবন দেহে মৃত খিদে । বিপদ ঘনিয়ে এলে ঘরের দেওয়াল ও অন্ধ … পর্দাহীন সেই জানালায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দ্যাখে সাইমন। যদিও প্রয়োজন থেকে অধিক ফিসফিস…
গতি ও বৃদ্ধি কবিতাকে মেরুদন্ডহীন করে মনের ভেতর শীতল স্রোত বইয়ে দেওয়াকে কি যেন বলে মহাশয় ? চমকে দেওয়া ? বাংলা ভাষার গতি ও বড়ই বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে কোনো…
ঝরনাটোলার গান-৬ ভেঙে যাওয়া হাঁস ভেসে যায় দিঘিজলে সন্ধ্যা নামছে রক্তকরবী গাছে প্রজাপতি এসে পুরোনো সেতারবলে বসল একটু বৈধব্যের কাছে কেউ আজ তাকে আসন কি পেতে দেবে কুঠার গাইছে কবেকার…
ফুঁ হাওয়ার উপর নির্ভর করে আছি পুরোটাই। কী আদম, কী মাহদী, সবাই-ই যেন হাওয়ার অঞ্চল। মূলত একবার একটি মাটির পুতলার বাম পাজরের মাটি নিয়ে খোদা ওখানেই ফুৎকার করে বসিয়ে দিলেন…
মেয়েটি বেশ্যা নয় ১ আমার ঘরে একটা লাল আলো জ্বলে সারা রাত, ফ্যানটা ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে একসময় ঘুমিয়ে পড়ে। আমার পেটের ভিতর থেকে উঠে আসা লম্বা মিছিলের দিকে তাকিয়ে…