ওহে ক্রুশবিদ্ধ যুবা
শুনতে পাচ্ছ ছায়ার শব্দগুচ্ছ? ভাবছ কেন নিহত রমণীর দেহ তোমার দেহের পাশে পড়ে আছে? তুমি নিজেই লিখেছ তার সুদীর্ঘ ইতিহাস। আর আড়াল বোলাচ্ছ যুবতীর নিরম্বু বুকে। তোমার চিবুকের মতো তার…
শুনতে পাচ্ছ ছায়ার শব্দগুচ্ছ? ভাবছ কেন নিহত রমণীর দেহ তোমার দেহের পাশে পড়ে আছে? তুমি নিজেই লিখেছ তার সুদীর্ঘ ইতিহাস। আর আড়াল বোলাচ্ছ যুবতীর নিরম্বু বুকে। তোমার চিবুকের মতো তার…
রক্তাক্ত পৃথিবীর মধ্যে বাস করে রক্তের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার অনিবার্য হয়েই থাকে। তবু কথা বলে যেতে হয়। শব্দ নাকি ‘ব্রহ্ম’ সাক্ষাৎ। আর ‘ব্রহ্ম’ সাক্ষাৎ ‘নেতি’। শব্দ তবে ‘নেতি’? কিছুটা হয়তো…
বিসর্জন-শব্দ ধ্বনিই সার? প্রতিবার আশ্বিন আসে। সমস্ত দেহজবৃত্তির কাদামাটি চড়ে বাঁশ খড় মোড়ানো হাড়ের গায়ে। তারপরে কবে একদিন, সব ক্ষয়ে যায়। চোখ, মুখ, চুল, বুক, পেট, ঊরু, এমনিই পাঁচভূতে গিলে…
গলা থই থই জল মেখে মাঠঘাট বসে আছে। আকাশে অযুত নীল, উড়োঝুরো নীলের মেলাধুলো। এ ধুলো মাখাবে কাকে? গায়ে মাখবেন শ্রীমতী? জানা নেই। তবু এই পালাগান তোমাকে শোনাতে মন চায়।…
১ তোমার বার্ধক্যের হাত ছোঁবেই আমার উইঢিবি আঙুলের মুঠো। আমাকে ছোঁবেই তুমি যেকোনো মর্মে জানি। তবে খামোখা কেন কাঁপিয়ে তুলছ রাতের সমাবেশে- ক্লান্তির নিঃশেষ অধিকার তুমিই দিয়ে গেছ। বিনিময়ে বুকে…
জরাসন্ধ আমাদের সময়ে সন্ধি নেই, সন্ধি থাকে না। সাতবাসি দেবতার ঘর করে পচে গেছে সতেরো যুগের হাত পা। অন্তরাল, অন্ধকূপ সবাই সরে যাচ্ছে একে একে। চোখ ধাঁধানো আলোয়, রোদ্দুরে ঝলসে…
তোমাকে খুঁজে খুঁজে কখন নিজেরই যূপকাষ্ঠ পেয়ে গেছি, দেখিনি। হঠাৎ দেখছি বিস্তীর্ণ শ্মশানের জমি। হাজার বছরের কাঠ জমে আছে এই শ্মশানের বুকে। পোড়েনি কেউ, কেউ চায়নি শান্তিজল। সবাই দাঁড়িয়ে থেকেছে।…
আমার গলা অবধি রুদ্ধশ্বাস। আমার ব্রহ্মতালুতে জ্বর। এখানে কেউ নেই। এখানে কেউ থাকে না। আমার বুক অবধি ঝলসানো আগুন। মাথার চুলে জড়ানো অঙ্গার। আমাকে দেখতে পাচ্ছ তথাগত? এখানে অবশেষে এসেছি।…
এ বিপ্লবের বধ্যভূমি নেই, এ বিপ্লবের কারাবাস নেই। যা থাকে, তা তুমি নিংড়ে নিতে জান, জানো কার এতকাল রক্তক্ষয়, আজকেই মুঠোভরা বসন্ত এনে দিতে পারে। আমার বসন্ত আজ তাই নিঃশেষ…
সে বাড়ির ঝাড়লণ্ঠনগুলো থেকে থেকে বেজে ওঠে। কেউ বাজায় তাদের, আপ্রাণ বাজিয়ে চলে নিজেরা বাজবে বলে। কেউ কখনো তাদের দেখে না, কেউ টের পায় তারা মাঝে মাঝে জেগে ওঠে, বেজে…