রক্ত
ঈশিতা মন্ডল সাঁতরাগাছী স্টেশনে নেমে রিকি রায়চৌধুরীর বাড়ি যাচ্ছে। রিকি ওর অনেক দিনের বন্ধু।
রিকি ওকে দেখে ভিতরে বসতে দেয়।
ঈশিতা বসে ‘তুই এবার সেট্ট্ল হ। তুই পূজাকেই বিয়ে কর। বাকিগুলো ছাড়’। রিকি হাসতে থাকে।
‘তুই দারুন বলেছিস, পূজা হল আমার ঘড়ার জল, রূপকথা, কোজাগরি এরা সমুদ্র।’
ঈশিতা মনে দুঃখ পায়, ‘রিকি এই রকম।’ মনে মনে ওকে ধিক্কার দিয়ে বেরিয়ে আসে।
একদিন চেতলা ব্রীজে মেসোমশাইকে দেখে ছুটে যায় ঈশিতা। এক গনিকার সঙ্গে টাকা পয়সার আলোচনা হচ্ছে। তারপর অন্ধকারে হারিয়ে গেল।
মেসোমশাই হলেন রিকির বাবা।
লোভ
এম. এ পাস করে অলোক কোনো কাজ না পেয়ে অগত্যা চা-পানের দোকান করে।
সিরাজ বলে, ‘অলোক, চা-পানে কিন্তু ভালো লাভ।’
অলোক বলে, ‘আমার রুজিরোজগার হয়ে গেলেই হবে’। তুই এত মহৎ। টাকা পয়সা নিয়ে এতটা চিন্তিত নয়’ সিরাজ বলে।
অক্ষয়তৃতীয়ার দিন অলোক দোকান সাজায়, সত্যনারায়নের পুজো করে। সিরাজ গ্রুপথিয়েটার করে। রাত্রে স্টেশনে নেমে চা খেয়ে বাড়ি ফেরে।
একদিন সিরাজ সংবর্ধিত হয়েছে। নামতে নামতে স্টেশনে অনেক রাত হয়ে গেছে। ম্যাজিক গাড়িতে উঠে পড়ে।
ড্রাইভার বলে-‘এটা লাষ্ট টিপ। নাহলে আপনাকে হেঁটে যেত হত’।
সিরাজ অলোকের চায়ের দোকানের দিকে তাকায়, ‘এত রাতেও দোকান খোলা’।
ড্রাইভার বলে- ‘কাঁচা পয়সা ইনকাম। লোভ সামলাতে পারে না।’
ছবি – মকবুল ফিদা হুসেন