সঞ্চারী দীর্ঘাঙ্গীর তিনটি কবিতা

প্রতীকী ছবি

এই যুগক্ষ‍ণে আমাকে একলা থাকতে দাও।
আমার কবজি ঘুরে চলে খালি,
অন্ধ পায়রার শোকমিছিল জুড়ে জুড়ে।
তারপর সতত ধমনীর গ্লানি,
ঢুকিয়ে দিচ্ছ আমার শিরায়, ভয়াবহ জবরদস্তি গানে।
আমি তো রোজ রোজ তাও ফুটপাতে এসে বসি,
হিসাব রাখি ঠোঁটপোড়া লেহন কথার।
আমাকে নাও না এখানে। বড়ো জরুরি উৎসর্গ পত্র রেখে যাব-
নইলে এ বসন্তে একলা ভিক্ষুণী আমি।
আবার তোমার মাধুকরী নিয়ে হেঁটে যাই, হেঁটেই যাই এই বসন্তের রাতে….

 

আমার জানুতে কি কথা লুকোনো জান?
জানতে চেয়েছ কতবার, বলিনি কিছুই!
কতবার রেখে চলে গেছ অদ্ভুত ব‍্যত‍্যয় দিয়ে।
অথচ আমাকে থামাতে পারেনি কথা,
থামাতে পারেনি কুঁচকোনো শব্দের যোনি।
তুমি তার ঋতুরন্ধ্রে সিঁড়ি বাও, শুনে থাকি মাঝেমধ্যেই। তাই নিষ্প্রয়োজন এই স্থাণু দেহকঙ্কাল গুঁড়ো।
এখনো দেখছি,এই শরীরের ধারে বিরহ নিশ্চিন্তে শুয়ে আছে নির্ভয় শালমুড়ি ঘুমে।
এই নৃশংস শৈতের রাত হত‍্যা করে রাখো,
কালকে তোমার নিষাদ বাহুতে বিষবিদ্ধ হব।

 

জরায়ু, অন্ধকূপ তোমরা সবাই আমাকে ঘরে তোলো একে একে-
আমার রাস্তা ভুল হচ্ছে রোজ।
আমি ফুটপাতে হারিয়ে যাই, রাস্তার মোড়ে মাঝে মাঝে সেদ্ধ হয়ে ঝরে পড়ি।
আমাকে ঘরভাড়া দাও অন্ধকূপ। তোমার সাথে রতিশয‍্যা বাকি আছে।
আমাকে দয়া করে ঘরভাড়া দাও। পরশু রাত্রে ডালিম বন উপহার পাবে।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন
Avatar photo

By সঞ্চারী দীর্ঘাঙ্গী

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতক হয়েছেন, এখন চলচ্চিত্রবিদ‍্যায় স্নাতকোত্তর করছেন। অ্যাকাডেমিক নিবন্ধ লেখার পাশাপাশি কবিতা, গদ‍্য আর পেইন্টিং এ নতুন ভাষা খোঁজার চেষ্টা করছেন।

Leave a Reply