আলোকবর্ষ
আমাদের মাঝে আছে এক আলোকবর্ষ
প্রতিবার ফিরে ফিরে গেছে বুকের প্রতিধ্বনি
তোমারই কাছে গোঙানি হয়ে..
আলাদা হেঁটে গেছে দুটো পথ
যেখানে বৃষ্টির মতো করে সন্ধ্যা নেমেছে।
হৃদয়ের কুয়ো ঘিরে উঠেছে আশ্চর্য মায়াচাঁদ
নিমগাছের কোটরে নির্লিপ্ত গৃহস্থ মন
বুঝেছি, স্মৃতির মুখোমুখি হওয়া মানে শবযাত্রা
ক্ষতদের গা জড়িয়ে ধরে শুধুই নুন।
দূরত্বকে পেরোতে পারিনি, গিলে চলেছি ক্রমশ..
রূপান্তর
গুটি গুটি পায়ে হেঁটে যাচ্ছে শুয়োপোকা
তার শরীরের সমস্ত কাঁটাই মানুষের দেওয়া
এক একটা কাঁটা এক একরকমের দুঃখ।
দুঃখ লিখতে লিখতে সে হয়ে উঠছে প্রজাপতি
হলুদ,নীল,সবুজ, কালো আরো কত রং–
পড়ছে হাততালি, উড়ছে মেমেন্টো
কেউ দেখতেই পাচ্ছে না–
সব রং এর পিছনে লুকিয়ে রং- বেদনার
দুঃখ পেতে পেতে, দুঃখ খেতে খেতে
প্রজাপতির মতো ডানা মেলে দিচ্ছে কবি
হৃদয়ের রং চিনে আজ সে পাঠকের অর্ধেক অর্ন্তযামী !
বাঁক
তুমি যতবার আমাকে ফিরিয়ে দেবে
আমি ততবার নদীর কাছে চলে যাব
ভাটিয়ালি ঢেউ কুড়বো–
নদীর বুকে গেঁথে দেব সূর্যাবর্ত,
দুটো পানকৌড়ির ডুবসাঁতার।
একদিন নদী সমুদ্রের কাছে যেতে যেতে থেমে যাবে
বাঁক নেবে মনের ভেতরে..
ছবি – পাবলো পিকাসো