কবিতা

তিনটি কবিতা

উদ্বেগ বিষণ্ণ দিনগুলো ঝেড়ে ফেলি উদ্বেগ পিছু ছাড়ে না দিনগুলো ঘুরঘুর করে জীর্ণ লোকালয় জুড়ে আজ মেলায় যাবার কথা ছিলো তুমি উদ্বেগে অস্থির হয়ে ভেঙে ফেলেছো শাখা মেলায় যাওয়া হলো…

একটি কবিতা

একই জলে আলাদা শঙ্খের ডিঙিতে শুয়ে আছি দুজনে কখনো যাব না বিধুর শীতলপাটি হাতে ওই ঘরে ঘুমের নদীতে বিচ্ছেদের সরুদাগ লেগে আছে একদিন তোমার পা বুকে ধরে সারারাত বসেছিলাম মুখ…

নিছক মায়া

নিছক মায়া এ জীবন বয়ে যায়, টলটলে কালো জল ঝিকমিক করে ওঠে জীবনের নীল আলো। দিগন্ত জুড়ে সূর্য উজ্জ্বলভাবে জ্বলজ্বল করছে। এটা একটা সুন্দর সকাল, দিনের আলোর মতো উজ্জ্বল।

এসো আয়ুষ্কাল

১ প্রকট গতজন্মে নিরালা থেকে ভূত ও ভবিতব্যে তোমাকে দেখি জন্ম! জন্মান্তর! জন্মদিন! যমেরও অরুচি কুম্ভ রাশির লব্ধ জাতক চাঁড়াল আমাকে নিরুপায় তবু তো ছুঁয়েছ তিথি এই আছি এই নেই…

অর্ণব মুখোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা

১ কত বসন্ত ফুরিয়ে গিয়েছে তার সাক্ষাৎ কামনা করে কৈশোর–কৈশোর, যৌবন–যৌবন কত বসন্ত পেরিয়ে এসেছি তার সাক্ষাৎ কামনা করে আম্রপল্লবের কাছে শুনেছি তার স্নানের গল্প অঞ্জলি ভরে তুলে নিয়েছি জল—…

কিছু বলতে নেই

খুঁড়িয়ে হাঁটছি অন্ধকারে— পা আছে কিনা জানা নেই লাঠি কোথাও একটা আছে . অর্ধেক, খাটো ,এখন ভাঙা রোদ পোয়াচ্ছি সন্ধ্যায়— চামড়া আছে কিনা জানা নেই আগুন কোথাও একটা আছে .…

অরূপরতন হালদারের তিনটি কবিতা

রাত্রি অন্ধ ঈশ্বরী স্মৃতির ভেতর সূর্য ডুবে যায় ঘোড়ারা ফিরে আসে নতুন আস্তাবলে যেন তীর নেই কোথাওসম্বিত এক অন্ধকার ধীরে গুটিয়ে নিচ্ছে তার সব ডানা ও আস্তরণ দোঁহাগুলি মিলিত হবেনা…

তোমার একান্ত পথে, একা

১১ কত কিছু দেখিয়েছো পথের দুপাশে …কত কী দেখাও গাছ পাতা নিঃসঙ্গ প্রান্তর দিঘী নদী ও পুকুর পুরোনো সড়ক বাড়ি ক্ষমতার প্রাসাদ মিনার দেখাও নির্মম মাংস ঝুলে আছে দোকানে বাজারে…

লালন চাঁদের তিনটি কবিতা

সংসার এসব ভাবতে ভাবতে ডুবে যায় সংসারী মন সামনে পারাবার তবু নাবালকত্ব ফেলে আসতে পারি না কোনোদিন নাবাল জমিনে বাসা বাঁধে ক্ষেত ফসলের ঘ্রাণ। জলছবি কথা নেই। তবু বুক ভাঙে…