১
প্রকট গতজন্মে নিরালা থেকে ভূত ও ভবিতব্যে
তোমাকে দেখি
জন্ম! জন্মান্তর! জন্মদিন!
যমেরও অরুচি কুম্ভ রাশির লব্ধ জাতক চাঁড়াল আমাকে নিরুপায় তবু তো ছুঁয়েছ তিথি
এই আছি এই নেই পাড় ও ভাঙন যেমন এত কাছাকাছি!
আমি তো ভ্রূক্ষেপহীন!কি বা আসে যায় মুগ্ধতা ছাড়া
সন্ধ্যামায়া পার করে কোমল স্বরে মুখোমুখি বসি তার
ভয় হয়!পাছে ছলকে পড়ে প্রাণ অচ্ছুৎ এই আয়ুরেখায়!
২
দিনরাত আলস্য লিখি। লিখি এই নিয়তি ভাব প্রবণতা
সর্পিল গতির সরণ। ইনিয়ে বিনিয়ে পথে বিপথে প্রহরের
কাতরতা। স্বভাবতই উপমাহীন অনর্থক এমন দিনযাপনের পাশে।
পথপাশে পড়ে থাকি। ফুলের শোভা দেখি। পাতাদের আসা আর
চলে যাওয়া। পতনের নিয়মেই যেন এই বর্ষাদেশ!
বাদলের গহীন মেঘ আমাকে শান্ত করো। সঙ্গ পেয়েছি স্বভাবতই
চঞ্চল তাই ক্ষণকাল পাষান যার সমূহ সম্ভাবনায় উদয় অস্ত
হারিয়ে এখন বুদ্ধের নিদ্রা দৃশ্যের ন্যায় রাতদিন বিপরীতে!
৩
কাশবন থেকে সরে যায় সাপ। ধূ ধূ নিঃসঙ্গতার ভেতর মনে মনে
অধিভৌতিক এই আমার অলীক জীবন তোমাকে সঙ্গে নিয়ে!
এপর্যন্ত ঠিক আছে। এই দশকেও দারিদ্রসীমার নিচে প্রতিনিধি
তুমুল অভাবে এ বাড়ি জেগে উঠলে, বুঝি তুমি আছো
ঝুটঝামেলা!শাক পাতা!ভাত গন্ধ!আনন্দ আয়োজন!
এতকাল নির্বাসনে ছিলাম!অচ্ছুৎ এখনও বা!নিশ্চিত করে
কিছুই বলা যায় না। মনে পড়ে প্রিয় গান। কাল সন্ধ্যায় মেতে ওঠা বেনাবন!