কবিতা

তন্ময় ভট্টাচার্যর কবিতা

অতিলৌকিক ‘অভিযোগ দেখো শুধু, ভালোবাসা দেখতে পারো না?’ আমার দুচোখ খুলে সঙ্গে নিয়ে গেছে তারপর কোটরে আরাম লাগে। আলো-হাওয়া লাগে মাঝেমাঝে। ঘাস বাড়ে। স্নায়ু-অব্দি পৌঁছে যায় তাদের শিকড় হাতজোড় করি,…

রাজীব লোচন মাহাতর কবিতা

আম তলে জাম তলে আম তলে জাম তলে ঘুরে বেড়ায় ছেলেটি। টির-ডাঙ খেলে রাস্তায়। মাঠে। সে জেনেছে, মজুর বাপের কাছ থেকে, শহরে মাঠ নেই। শুধু বড় বড় বাড়ি। হাওয়া ঢুকে…

ধৃতিরূপা দাসের কবিতা

একটা ছবি বুক নাচে আর বুকের দোলায় তীব্র ঘিলু ডেনড্রাইটের নেশার আঠায় নাচ ঘটালো। সংক্রান্তির শীতেই মা তোর উলঙ্গ নাচ! মধ্যরাতের এ জংশনে! নাচের গালে ফোগলা বিকট দাঁত ও হাসির…

সঞ্চারী দীর্ঘাঙ্গীর কবিতা

এ বিপ্লবের বধ‍্যভূমি নেই, এ বিপ্লবের কারাবাস নেই। যা থাকে, তা তুমি নিংড়ে নিতে জান, জানো কার এতকাল রক্তক্ষয়, আজকেই মুঠোভরা বসন্ত এনে দিতে পারে। আমার বসন্ত আজ তাই নিঃশেষ…

পৌলমী গুহর কবিতা

কস্তুরীগন্ধের যুবতীকে ১ কলকাতার বসন্ত আমাকে আর পোড়ায় না। এত উঁচু ঘরবাড়ি, দিগন্তহীন একটা রঙের বাক্সের দৈন্য নিয়ে আধোঘুম আকাশ আর রাস্তায় খালি গলাবাজি কিছুই পোড়ায় না। অথচ মানুষ পুড়ে…

অভিমান্য পালের কবিতা

ভাঙন ম্লান আঙিনায় দাঁড়িয়ে অনায়াসে বলে দিতে পারি যা কিছু আছে ভেঙে দাও , অবাঞ্ছিত যত সব যেখানে অদৃশ্য তেতো মন সেই দিকে হেঁটে যাও অন্ধকারে যেমন ফুল ফোটে বৃতি…

সায়ন্তনী হোড়ের দুটি কবিতা

অব্যক্ত আলোকথা ধীরে ধীরে সরিয়ে রাখি মনখারাপের বিজ্ঞাপন , এলেমেলো জং-ধরা পাতা উড়ে যাচ্ছে বছর কয়েকের দীর্ঘ শ্বাস জমা হচ্ছে অগোচরে লেখা চিঠির প্রান্তরে অদ্ভুত ভাবে না বলা সব কথাদের…

শুভম চক্রবর্তীর দুটি কবিতা

অর্থ ‘ভালোবাসা’ শব্দটির দিকে তাকাই। দেখি চার-অক্ষর তার। তুমি জগাতির মতো তার কেন্দ্রে বসে আছো। দু-প্রান্তে ঝুলন দিচ্ছে অনুভূতি স্থাবর-জঙ্গম। তারচে অন্ধকারে, মসৃণ জঘন নিয়ে ভাবি। কেন্নোর গায়ের ডোরাকাটাকাটা দাগ…

শতাব্দী চক্রবর্তীর পাঁচটি কবিতা

জলছবি অজস্র স্রোত বয়ে যায়, বয়ে যায় জোয়ারের খেলা ভাটার টানে খানিক ফিরেও আসে কালো জল, ক্ষত বাড়ায় একেকটি কৃষ্ণগহ্বরের মায়াময় জোছনা, ভোজবাজির হাট শুধু যাওয়া আসার ঘাটে ফেলে আসা…

গৌতম সাহার দুটি কবিতা

অনির্বাচিত আমাকে আমার মতো করে তুলতে পারি না বলে এত কষ্ট এত অশ্রুজল এত অচেনা লাগে নিজেকে মনে হয় সাঁই সাঁই শন শন হাওয়ায় নিজের কিছুই শুনতে পাই না শুধু…