বিষ
তখন’ও ছিলো অন্ধকার তখন’ও ছিলো শীত
মনগহনের জটিলতায় একমুঠো জোনাকির গীত
ডুব দিয়েছিল নদীর ধারে, আকাশে বোরোলিন
জলে ভেসেছিল যেন কার শব? হৃদয় যেন
দেখেছিল কারে? কী কাজে ডেকেছো
আমায় বলতে কী পারো?
মনগহনের জটিলতার হিসেব কে রাখে
কে লিখে যায় সেই লেখনি, অহর্নিশি।
তখন’ও ছিল অন্ধকার, তখন’ও পড়েছিল শীত
মনগহনের ভালোবাসায় অমৃতই যেন বিষ!
নভেম্বর, ৯, ২০২৪.
নুপুর
রেখেছিলাম আমার কাছে নুপুরখানি তোমার
কখন’ও যদি বসো চেয়ে, না পাই অন্যোপায়
দিতেই হবে জানি, অবিনশ্বর থাকবে পা দুখানি
নুতন জন্মের রাজার বাড়ি, নিখর রাত্রিবেলায়
বহুদূরের কুয়োতলার ঘন কালো জলে, সুর আসবে ভেসে-
মরণ অবধি কার তোমা’পরে অধিকার,
‘প্রিয়’ বলে ডাকিবার দিয়াছেন বিধি।
জানিনা গো আমি তাহা তবু ভাবি যদি তাহা
পাইতাম তোমা যেন অলকার নিধি।
রেখেছিলাম আমার কাছে নুপুরখানি
তোমার বহু যত্নে, বহু রত্নে রেখেছিলাম তারে’ও!
নভেম্বর, ১,২০২৪.
কিছু একটা ভুলের জন্য
আমি হয়তো কোথাও ভুল করে এলাম, নয়তো
আমার সঙ্গে কেউ ভুল করেছে কিছু।
কতকিছু নিয়ে মানুষ আজকাল শহরে ঘোরে, কত টানপিছু
আজ কিছুদিন হল শহরে হেমন্ত নেমেছে, প্রত্যক্ষ ছাতিমের গন্ধে
হিম ভেজানো দরজায় কড়া লাগিয়ে নিশ্চয় কোনো ভুল হল।
মানুষ সব রয়েছে গিয়ে এখন দূরের হিংসা বুকে
প্রেম পরিণয় অনুতাপ সব কিছু জ্বলছে অসুখে
কিছু নয়, এসবের ফলে কোনোদিন প্রাণ চলে যাবে
ছোটো একটা ভুলের কারণেই।
কে যায় এবং কে কে রইলো পড়ে, দেখলাম
একটা ভাঙা ইট, তারপাশে মূর্ছিত বিড়ালছানা।
নভেম্বর, ১১,২৪.
আমি চলি
আমি গেলাম, তোমরা না হয় পরে এসো
স্কুলের ঘন্টা এখনই’ বাজলো বলে-
শাক সব্জি মাছ মাংস ডিম দুধ এসব নিয়ে
তোমরা না হয় পরে এসো।
আমি হেঁটে হেঁটে পার হবো শূন্য মাঠ,
যেখানে দাঁড়িয়ে আছে ঘন্টা লাগানো কালো নেকড়ে
তোমাদের কাজ শেষ যখন হবে তখন আমি
হাঁটবো সেই সাঁকোপথে, যেখানে থাকে বিষবিছে।
আকাশ নিঝুম, হাসপাতাল ময়লা, ছাগলের দুধে রক্ত
হিসেবের মস্করায় এবার বৃষ্টি এসে পড়লো, তোমরা থেকো
আমি বরং চলি!
নভেম্বর, ১১,২৪.
সূর্য্যায়ণ রায়চৌধুরী
শূ দ্র ক উ পা ধ্যা য়
শোভন দত্ত