পৌলমী গুহর কবিতা

ইন্তেকালের ইস্তাহার

গানটুকু বাদ দিলে
যে একাকী সুর পড়ে থাকে
তাকে বলে দিও
যাবতীয় বর্ষার দায়
তার ছিল।

 

এ তো আর নতুন নয়
বিচ্ছেদ ও বর্ষা,
বাকি সব ভুল থেকে যাক।

 

আমাদের ব্যথা ছিল।
চিৎকার ও মধ্যমা
আকাশে ওড়ানো হাত
বিচারের আশায় নতজানু

খালি নাইকুণ্ডলী পুড়ে যেতে
ফাঁকা ঘর জেগে থাকল।

 

যে ব্যথার আশ্রয় নেই
তার উপসংহারে
আমি চন্দ্রকলা লিখে দেব।

 

এত ভিড়ে জলপ্রপাত
ধারাভাষ্যের মতো একঘেয়ে।

 

তোমারও কিছু ঋণ ছিল বলে
দ্বিতীয় ফাটলের মজুরি
বাকি থেকে গেল।

 

আমি যে তারাদের চিনি
কিছুতেই মহব্বতঁ ও গতিজাড্য
বোঝেনি।

 

বিষের ধর্ম নিয়ে থাকি বলে
বেদনাবিলাসী মধুর শোনায়।

 

বেঁচে থেকো।
কারণ মরে গেলে কেউ কবিতা পড়ে না।

 

১০

তোমাকে ভুল বলে গালি দিয়ে
শত্রু খোলস ছেড়ে বেরোল
আর ব্যালকনি ব্যথিত বলে
আমি পর্দার রঙ বদলে ফেলি।

 

১১

তোমাকে যতবার জড়িয়ে ধরেছি
নোনাজল রক্তে মিশে গেছে।

 

ভালো লাগলে শেয়ার করুন
Avatar photo

By পৌলমী গুহ

জন্মসূত্রে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা। বর্তমানে কর্মসূত্রে কলকাতায়। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। কলেজজীবনে লেখালেখির সূত্রপাত। মধ্যবর্তী, আবহমান, ঐহিক, কবিতাপাক্ষিক সহ বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত গ্রন্থ 'শিশির শিকারের পর', 'শূন্যের ভিতর'।

Leave a Reply