পথের জন্য
সৈকত বালা
সে ছিলো এক মস্ত শরীরের মানুষ, লাল রঙের ধুতি, প্লাস্টিকের গঙ্গাজলের ঘটি সদৃশ্য কৌটো কোমরে দড়ি দিয়ে বাঁধা, পলতার গঙ্গা থেকে স্নান সেরে ও পথেই হেঁটে হেঁটে সে তারাপীঠ পর্যন্ত…
April 2024
অভিমান্য পালের কবিতা
অভিমান্য পাল
ভাঙন ম্লান আঙিনায় দাঁড়িয়ে অনায়াসে বলে দিতে পারি যা কিছু আছে ভেঙে দাও , অবাঞ্ছিত যত সব যেখানে অদৃশ্য তেতো মন সেই দিকে হেঁটে যাও অন্ধকারে যেমন ফুল ফোটে বৃতি…
রবিবারের আলাপ সালাপ : পর্ব – ০৩ (নববর্ষ ১৪৩১)
মানিক সেন
বাংলা নববর্ষ শুরু হল। জীবন ফুরিয়ে যায়। সঞ্চয় শূণ্য । ইঁদুর দৌড়ে ক্লান্ত, আবার এই ক্লান্তি জীবন মনে হয়। বসন্ত শেষ গ্রীষ্ম শুরু। বৈশাখে রবীন্দ্রনাথ জৈষ্ঠ্যে নজরুল। ছোটো বেলায় এই…
বাংলা বর্ষ বরণে কাশী
জয়দেব দাস
নববর্ষ অর্থাৎ, নতুন বাংলা পঞ্জিকা, দিনপঞ্জি ( ক্যালেন্ডার) মিষ্টিমুখ, নতুন ধুতি পাঞ্জাবি, সুতির শাড়ি, নতুন ব্যঞ্জন। নববর্ষ অর্থাৎ, গুরুজনদের প্রণাম জানান, যাদের সঙ্গে সারা বছর যোগাযোগ নেই তাদের সঙ্গেও অন্তত…
চন্দ্রকামিনী
রক্তিম ভট্টাচার্য
বাতাসের ঘুম যখন ভেঙে যায়, ঠিক তখন গাছেরা নুয়ে পড়তে চায় মাটির কাছাকাছি। তাদের কেউ তুলে ধরতে পারে না। তারা নিজেরাও নিজেদের তুলে ধরতে চায় না। তুলোর মতো হালকা একটা…
সায়ন্তনী হোড়ের দুটি কবিতা
সায়ন্তনী হোড়
অব্যক্ত আলোকথা ধীরে ধীরে সরিয়ে রাখি মনখারাপের বিজ্ঞাপন , এলেমেলো জং-ধরা পাতা উড়ে যাচ্ছে বছর কয়েকের দীর্ঘ শ্বাস জমা হচ্ছে অগোচরে লেখা চিঠির প্রান্তরে অদ্ভুত ভাবে না বলা সব কথাদের…
শুভম চক্রবর্তীর দুটি কবিতা
শুভম চক্রবর্তী
অর্থ ‘ভালোবাসা’ শব্দটির দিকে তাকাই। দেখি চার-অক্ষর তার। তুমি জগাতির মতো তার কেন্দ্রে বসে আছো। দু-প্রান্তে ঝুলন দিচ্ছে অনুভূতি স্থাবর-জঙ্গম। তারচে অন্ধকারে, মসৃণ জঘন নিয়ে ভাবি। কেন্নোর গায়ের ডোরাকাটাকাটা দাগ…
শতাব্দী চক্রবর্তীর পাঁচটি কবিতা
শতাব্দী চক্রবর্তী
জলছবি অজস্র স্রোত বয়ে যায়, বয়ে যায় জোয়ারের খেলা ভাটার টানে খানিক ফিরেও আসে কালো জল, ক্ষত বাড়ায় একেকটি কৃষ্ণগহ্বরের মায়াময় জোছনা, ভোজবাজির হাট শুধু যাওয়া আসার ঘাটে ফেলে আসা…
গৌতম সাহার দুটি কবিতা
গৌতম সাহা
অনির্বাচিত আমাকে আমার মতো করে তুলতে পারি না বলে এত কষ্ট এত অশ্রুজল এত অচেনা লাগে নিজেকে মনে হয় সাঁই সাঁই শন শন হাওয়ায় নিজের কিছুই শুনতে পাই না শুধু…
সুজল সাহার পাঁচটি কবিতা
সুজল সাহা
আগুনের জন্মকথা নষ্ট ভ্রষ্ট ঈশ্বরের হাত তোমাকে মদত করেনি। আচ্ছন্ন জাতীয় সড়ক বরাবর নিঃশব্দ হেঁটে গেছি। উদাসীন ঘোড়ালিয়া থেকে দিব্যি তোমার জগদানন্দপুর। ছোট বড় ঢেউ জলকে নাচায় খলের চোখরাঙানি ভুলে…