বরুণ দাসের কবিতা

অতল সমুদ্র

মেঘলা আকাশ শ্যামল বাতাস ছিলো ঘন বরিষণ
হাতে হাত রেখে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম দুজন।
সালটা ছিল ২০১৯ দিনটা সঠিক মনে নেই
দুজনায় ভেবে ছিলাম প্রকৃতির ছোঁয়ায়।

গল্প বেঁধে ছিলাম সেই…
দেখেছিলাম কত পাখি উড়ছে, কত শালিক, কত বকের সমাহার।
কত পাতা উড়ছে গাছ থেকে, যারা ফিরবেনা গাছে আর
কত রং বেরঙের প্রজাপতি, রঙিন পাখা যার
বসে বসে দুজনায় দেখেছিলাম কত মেঘের সমাহার।

আমায় তখন সে প্রশ্ন করে, মেঘের ছটাক
যারা হাতী ঘোড়ার মতো পাক ধরেছে তারা কি আর কখনো ফেরে ?
তারা কি কখনো স্বতন্ত্র হবে নাকি একি সাথে পড়বে ঝরে।।
আমি বলি স্বতন্ত্র জগতের মহিমা গো, স্বতন্ত্র একদিন হতেই হবে।
স্বতন্ত্র জগতে এসছিলে তুমি স্বতন্ত্র যাবেই তবে …

এবার ঝড়ের মাঝে যখন, বৃষ্টি থামালো গরম চা এলো হাতে
চায়ের কাপে চুমুক দিলাম দুজনাই একি সাথে।
কত কি আনন্দসম আর কত বলাবলি
হঠাৎ আমায় বলে উঠে শুনো তোমায় একটা কথা বলি
আমি তখন রণসৈনিকের মতো বসে আছি

কখন্ যে বলবে কখন্ যে বলবে আমি তোমায় ভালোবাসি।
সে বলে, তোমায় বলবো বলে কত ভাবছি, বলতে পারি না।
যাকে আমি ভালবাসি তার বিবরণটাই
আজ বলবো বলে তোমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি

জানো অনেক পূর্বেই আমি একজনকে ভালবেসেছি।

 

ছবি – লেখক

ভালো লাগলে শেয়ার করুন
Avatar photo

By বরুণ দাস

জন্ম ৪ ডিসেম্বর ২০০১ সালে আসামের করিমগঞ্জে। বর্তমানে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্র।

Leave a Reply