সেতুহীন বন্ধুর অপেক্ষায়
বহুদিন বন্ধুর অপেক্ষায়
নদীর পাড়ে বসে থেকেছি
সেতুহীন জোছনায়;
আলো মেখে, ছায়ার সঙ্গে।
জোনাকি আলোয় ঘুমোতে যাইনি, বহুদিন
উন্মাদ জোছনায় মেঘের লুকোচুরি দেখতে দেখতে
ভোরের আলোর মিষ্টতা দু-হাতে গায়ে মাখা হয়নি…
অপেক্ষায় থেকেছি বন্ধুর জন্য…
আমার চারপাশের দেয়াল
উঁচু হতে হতে ঢেকে ফেলছে শরীর।
ক্রমশ বাড়ছে চুল-দাঁড়ি, নখ…
চোখ বেরিয়ে আসছে
দেখছে পাশের রাস্তা, পুকুর পাড়,
মানুষের কোলাহল, প্রেমিক গাছের হাসি…
বন্ধুর অপেক্ষায়
কয়েক শতাব্দী পার করার পণ নিয়ে
চাঁদ উঁকি দেয় প্রতিটি গ্রামের রাস্তায়,
শহরে, নদীর ঘাটে…
আমি কতবার জানতে চেয়েছি
বন্ধুর নাম কি, কেমন দেখতে!
প্রতিবার একই উত্তরে মিলিয়ে যেত হাওয়া…
‘যেমনটা কল্পনায় আসে…’
কল্পনার ছবি আঁকতে শুরু করলাম,
দৃশ্যের পাশে দৃশ্য সাজাতে সাজাতে
আমার চুল বড়ো হয়ে গেল, দাঁড়ি কাটা হল না,
পাঞ্জাবি গায়ে চাপিয়ে নিতেই
কেউ বলে উঠল ‘ওই দেখ সাজো কবি হেঁটে যায়’
কেউ বলল ‘চলে এসো আমার দলে’
আমি শুধু বন্ধুর প্রতীক্ষা করে গেছি,
জোছনার কাছে ছুটে গেছি, মাস্তুলের কল্পনায় নদীর পাড়ে বসে
একের পর এক দৃশ্য এঁকে গেছি তাঁদের উপেক্ষা করে…