একটা ছবি
বুক নাচে আর বুকের দোলায় তীব্র ঘিলু ডেনড্রাইটের নেশার আঠায় নাচ ঘটালো। সংক্রান্তির শীতেই মা তোর উলঙ্গ নাচ! মধ্যরাতের এ জংশনে! নাচের গালে ফোগলা বিকট দাঁত ও হাসির কালোয় কালো…
বুক দেখাল…
ঈশ্বরের কী যে হই!
দৃপ্ত শিঙে চার পা ঘাসে ডুবিয়ে ঈশ্বর…
তাঁকে এক্ষুণি পাহাড়ের বুকে এঁকে তুলল যে —
তার কী যে হই! কিছুতেই বোঝাতে পারি না।
তার চে সহজে চলো নেচে কুঁদে ঠাকুর বুড়িয়ে দিয়ে আসি।
অন্তত হাওয়াটা বদলাবে, অন্তত বদলটা,
ঝুলে পড়া মা-ভাষার দুধ দুলে ওঠা, অন্তত!
সে গান আমাকে নিল
সে গান আমাকে নিল।
সে গান উচ্চারণ করে করে যায় দিন।
যোনির পাঁপড়ি খুলে আকুল উচ্চারণে সেই সব দিন গুজরান।
ছাপ ও তিলক মুছে দিয়ে যান আবিদা পারভিন।
অনুসারী বিবর্তন
মুড়ি তো ছড়িয়ে পড়ে মুড়ির নিয়মে;
আমাদের কোনও দোষ নেই।
তবু একে অন্যকে দুষতে দুষতে এক অতল আকুল
অবশেষে এখানে ফুরালো।
স্বাদু মাখা মুড়িগুলো ঝগড়া উদযাপন করে আর্কাইভে তুলে দিল রমণায়ু।
সকলই মুড়ির ইচ্ছা,
আমাদের শুধু অনুসারী বিবর্তন।
চিরকালের মেজো বেড়াল
তোমার প্রথম আর শেষ বেড়ালের তফাৎ করতে পারি না।
তুমি পার বেশ।
আমি তোমার চিরকালের মেজো বেড়াল।
প্রথম ও শেষ সংখ্যার উজ্জ্বল তাপে কালি থাবা ফেলে,
চোখে না পড়ার থেকে একরোখ লাফে কোলে উঠে আসি কখনও কখনও।
কখনও কখনও ঠিক এইভাবে ‘চিরকাল’ চিহ্নিত হয়।
ছবি – অবন ঠাকুর