পাঙ্খাওয়ালা
তোমার দাঁতে চুন-সুপারি খয়েরের দাগ
পানপাতার সবুজ মেলে না সেখানে
হাসতে চাওনা
মুখের ভিতরে চল্লিশ বছরের ক্যামোফ্লেজ
তবু তুমি গিরগিটিকে আত্মীয় মানো না
কোমর বাড়তে বাড়তে এখন বুকসমান
শরীরে মাখন মাখন কোটর
সেই সব রন্ধ্রে তুমি লুকিয়েছ নীলবিষ
এবং আতর সমুদ্রে ডুবেছে জিভ মুখের ভিতর
রত্নাকর বাল্মিকি হয়েছিল তুমিও
তামাক সিগার ছেড়েছ সোনালী ছলাৎ
ফুসফুস জুড়ে উথাল-পাতাল সন্ন্যাসরস
অন্ধকার নামলে ঢেকুরে রতিবাস্প হাতযশ
দ্রৌপদীর চৌকাঠে অংশীদারের পাদুকার অবসর
তোমার কুঠুরিতে নিত্য সেবা পায় ভঙ্গুর দেবতারা
আমি কেবল দৃষ্টিহীন পাঙ্খাওয়ালা
সুর শুনি, বাজাইনি কখনও তোমার ফুলেল দোতারা…
এই বনাঞ্চলে
এখানে নেকড়ে নেই
হায়নাও দেখা যায় না এই মফস্বলে
যদিও মাঝে মাঝে শিয়ালের দল বেরিয়ে আসে
ওদের ঘাঁটিগুলো তবু লুকানোই থাকে
এখানে কুমির দেখা যায় না
জলজ পোষাক পরে ঘোরে না প্রত্ন-খাদক
তবে সরীসৃপ এখানে দল বদল করে অহরহ
আর আমরা ছায়ার হেঁয়ালির সমাধান খুঁজি
গিরগিটির আধুনিক পোষাকের নীচে…
পাকাচুল
সামনের চুল সাদা হয়ে গেলেই সবাই বুড়ো হয় না। যেমন জমাট বরফেরও ভিতরে সেই লাজুক জল
নায়াগ্রা যেদিন জমে বরফ হল সেদিন প্রকৃতির ভঙ্গ হল তপস্যা
আমাকে বৃদ্ধ দেখছ, তোমার দেখার সমস্যা।
বয়সের সংখ্যাগুলো কাঁটাচামচে নেড়ে গিলে নিই
সময়ের ন্যাপকিনে মুখ মুছে নেবার পর
যেদিন পৌঁছাই তোমার নীল পৃথিবীর ডেরায়
রঙের বোতল দেখতে পাই লুকিয়েছ আস্তাকুঁড়ের পাশে
আসলে আমাদের ঘুড়ি ওড়ে একই আকাশে।