এগিয়ে যাই
আবার ফিরে আসি।
বারবার ফিরে আসতে হয় আমায়।
অনবরত চলতে চলতে লিগামেন্টের শক্তি
কমে এসেছে এখন
দুটো কালারলেস কাঁচের পেছনে
লুকিয়ে রেখেছি দুটো চোখ
কপালটা ব্যথা করে ওঠে
একটা বিড়ি ধরাই।
একটু আরাম লাগে।

গলা ছেড়ে গাইনা আর
বিড়বিড় করে ‘শেষের কবিতা’ পড়ি।
বন্ধুর কাঁধে হাত রেখে আকাশে তাকাই
অন্ধকারই গন্তব্য।

মাঝে মাঝে তোমার কথা ভেবে
একটু হেসে উঠি।

 

মানুষ
পরশ্রীকাতর।
সে নাকি চলতে চলতে সমাজ গড়ে ফেলে।

আমি বিকেল হতেই
হালকা ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি
মানুষ আসে, মানুষ যায় ।
হঠাৎ জেগে উঠি
এক হাজার স্কোয়ার ফিটের একটা
পার্লামেন্টের গোলটেবিলে –

ওখানেও ওরা তোমাকে নিয়ে
আলোচনা করে
আমিও না বুঝেই
টেবিলে দু’ঘা পিটিয়ে দিই
তোমার কথা ভেবে।
তোমার চুলের কথা ভেবে।

তুমি যেমন আমাকে সামলাতে পারোনি
এই সমাজটাকেও পারবেনা ?

 

শিরদাঁড়া নেই
পিঠে তোমার পায়ের ছাপ নিয়ে
কুঁজো হয়ে হাঁটি।
অনুভূতি নেই
রক্তের সাথে মিশে গেছে ইথার।

বুকে ভর দিয়ে চলতে চলতে
সরীসৃপ হয়ে গেছি
এখন
তোমার বাগানে মুখ লুকিয়ে ঘুরে বেড়াই।

 

কথা
কথার পিঠে কথা।

লাগামছাড়া কথা বলতে বলেতে কখনো কখনো
নিজেই খেই হারিয়ে ফেলি
পাশ কাটিয়ে ছুটে চলে যায় বিদ্যুৎ
শুনতে পাই না।

চেতনা ফেরে বন্ধুর ধাক্কায়
‘নে একটা বিড়ি খা’
আগুন জ্বালি মুখে।
পুড়ে যায় তোমার কথা।
আমার কথা, তোমার কথা
আমাদের কথা।

আমি অসুস্থ – তাই তোমার দিকে
ফিরে তাকাতে পারিনি আর।

তোমার অসুখ সেরে গেছে
তাই হয়তো আমায় আর ভালোবাসতে আসোনি।

 

সকাল থেকে কড়া রোদ্দুর
বিকেলে বৃষ্টি।
থেকে থেকে আবহাওয়ার এই মুড স্যুইং
অনেকটা তোমার প্রেমের মত
নীল।
শুধু মনে হয় – এই বুঝি হিসেব মিলছেনা
হয় যোগ-বিয়োগে ভুল
নয়তো গুণ-ভাগে।

জেমস্ বন্ডের প্লটের মত আমার মুড
এখন ঘড়ির কাঁটার সাথে ঘুরতে থাকে।
কখনো ছাদে ঘুড়ি ওড়াই
কখনো পুকুরে ঢিল ছুঁড়ে মারি –

প্রেম, মনখারাপ – এসব শব্দ নাকি
আজকাল ব্যাকডেটেড
ওরা এরই একটা বেশ ভারীক্কি নাম রেখেছে
ডিপ্রেশন।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন
Avatar photo

By দেবপ্রিয় গোস্বামী

জন্ম রায়গঞ্জ , উত্তর দিনাজপুরে । আধুনিক কবিতা লেখার অনুগামী । সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা থেকে কবিতা লেখা শুরু । ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র ।

Leave a Reply