তুমি বলেছিলে, প্রেম মানে নদীর ভাঙন,
আর আমি বুঝেছিলাম, সেটা শরীরের মানচিত্রে আঁকা
একটি অসমাপ্ত উপকথা।
আঙুলের ডগায় জেগে ওঠে স্মৃতির হিরোগ্লিফ,
চামড়ার নীচে জমে থাকা অলিখিত কবিতা
রাতের আঁধারে শব্দ হয়ে ফেটে পড়ে।
তোমার ঠোঁটের স্পর্শে যে ভাষা জন্মায়,
সেটা কি কবিতা নাকি নিছকই ক্ষুধার স্বীকারোক্তি?
আমি শব্দের শরীর খুঁজি,
তুমি শরীরের শব্দ।
একটি আঙুল ধীরে ধীরে পথ দেখায়,
অন্ধকারের গুহায় ঢুকে পড়ে আমাদের নীরব উচ্চারণ,
জিভের ডগায় লেগে থাকা অক্ষরগুলো
একটি একটি করে খুলতে থাকে শরীরের তালা।
প্রেমের সংজ্ঞা কি রাত্রি জানে?
নাকি ভোরের আলোয় লজ্জার রং বদলায়?
আমরা ছায়ার ভেতর ঢুকে পড়ে
জন্ম দেই এক অক্ষরহীন কবিতা।
তুমি বলো, ভালোবাসা নাকি ভাষার জন্মদাতা,
আমি বলি, ভাষাই ভালোবাসাকে খেয়ে ফেলে,
তারপর শরীরের কার্নিভালে
আমরা ভাষাহীন হয়ে উঠি—
নিঃশব্দ, কিন্তু প্রবল।