প্রতীকী ছবি

 চন্দ্রবিন্দু

যতদূর দেখতে পাই
ততদূর দেখতে পাই না

মাথায় একফালি আকাশ রেখে
একবুক জলে নেমে
কারা যেন জোনাকির মতো গান গায়..
ভেসে ওঠে ছোট্ট চন্দ্রবিন্দু।

নদীর খানিকটা ভেতরে গেলে ছুঁতে পারি
পৃথিবীর শেষ প্রান্ত..

হে নদী
আমি জানি
তোমার ভালোবাসা নিঃস্বার্থ ও নিবিড়
জীবন মৃত্যু দুইয়ের ভেতর।

অক্ষমতা…

সবাই অক্ষম
সংসারে,কাজের জায়গায় কিংবা নিজের কাছে।

তবুও শর্ত বাঁধে
লিরিক্স ভুলে বেসুরে গান গায়
ভাবে,
বেশ তো দিলাম ধুলো…

অন্যের চোখে?
না কি নিজের!

অভিনয় দক্ষতা লাগে
এ জগৎ সংসারে,
এ পৃথিবীতে সবাই মিথ্যুক…
ভেতরে ভেতরে।

চৈত্র..

চৈত্রের সকালে রোদ ছড়িয়ে বসে আছে কৃষ্ণচূড়া
আগুন রঙের বসন্ত পাখিটি কুড়িয়ে রাখছে আলো,

সমস্ত প্রশ্নের বিপরীতে যে আকাশ হেঁটে গেছে
ধুলোপথ ধরে
ফসলের মাঠ ছুঁয়ে ছুঁয়ে,

আমি তার কাছে গেছি বহুবার..

বলেছি
সব কাজ শেষ হলে ফিরে এসো,
আমি সময়কে বলে দেবো নিজেকে ভুলে যেতে,
জানি, তুমি পড়ে নিতে জানো বেসুরো কথা..
গোটা একটা ছন্নছাড়া মানুষ,

তবুও কিছু ভুলে ভরা স্মৃতি
তোমার বুকেই ঘর বাঁধতে চায়।

 

ছবি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply