১
নাভিতে জ্বালানো মোমবাতি। টানা তিন রাত্রি জ্বলার পর নিভে যাচ্ছে এবার। এটাই প্রমাণ সময় প্রতিস্থাপনের। অন্ধত্ব একটি আরশোলার মতো। আর নাভি হল সেই টিকটিকি। বাদামী দেয়ালে 77 । কিসের রূপক ? কিছু বিয়োগ। কিছু যোগ। পঁচাত্তরের কালরাত্রি এলে সবই সমান্তরাল…
জল বয়ে যাচ্ছে বিপদসীমার এক ইঞ্চি ওপর দিয়ে। তারপরও শান্ত পৃথিবী। স্থির, স্থবির।
টিকটিকি ঘুরছে। ঘরময়। নাভি থেকে ব্রহ্মতালু,টিক টিক।
জানি, তুমি টিকটিকিকে মারাত্মক ঘেন্না করো
২
দরজা খুলে দিয়ো। হরিণের দাম্পত্য থেকে নামিয়ে এনো সংসারের সারবত্তা। চোখ খোলার প্রয়োজন নেই। পা ছেঁচড়ে পৌঁছতে হবে সিলিংয়ে। ওজন বেশি হলে ধার নিও পূর্ণিমার চাঁদ। গতকালের টিকটিকিটা আজও এসেছে। সুতরাং, ওর খিদে আছে। ঘরমুখো মানুষের কাছে অভাব কী,সেটা কি টিকটিকি জানে ? বোঝা না-বোঝার তুলাদণ্ড আসলে কাদের হাতে?
একটি দেওয়ালের খিদের জন্য ঝুলে গেল তোমার তলপেট
৩
পুরোনো দীর্ঘশ্বাস। ট্রেন ছেড়েছে। হর্ণের সময় পার হতে আর হয়তো দেরি নেই। এখন বাদামের খোসা ছাড়ানো অসম্ভব। দৌড়ঝাঁপ করলে তবু আশা আছে ল্যাম্পপোস্ট ধরার। নইলে তো মুড়িভাজা বেচেই নেমে যেতে হবে পাতালে। মাটির নিচে কোনো টিকটিকি নেই আরশোলা নেই। যেটা আছে সেটা, ফাঁকা। নরম ফাঁকা না নাতিশীতোষ্ণ ফাঁকা, সে খবর জানে পৃথিবীর জীবন্ত টিকটিকি।
মুখোশ পরো। লোকদের বলো, ‘ I’m in a situationship with a true lizard ‘
৪
নিরক্ষরেখা বরাবর চিরে গেছে দুইটি পা। মেরুকরণের আগেই ধ্বসেছে সান্দ্রতরল। শূন্য নিজেই উপযাচক হয়ে এলে পূর্বদিনগুলির মতো তাঁর নামে জুড়ে দিয়েছি শ্রীযুক্ত। অথচ জন্মসক্রিয় এই চোখেরা জানে দি বিগ জিরো ইস শ্রীহীন। ঢাক বোঝো ? প্রতিদিন বাজে। হংসমিথুন থেকে সরে দাঁড়ালে আয়নাবাজি করে। বাড়ির বাসন মাজা দিদিকে সেদিন প্রশ্ন করলাম, একটা টিকটিকি আর মসৃণ আয়না কম্বিনেশনটা কেমন হবে গো ? আমার চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে সে বলে, ” সবসময় কী যে তাকায়া থাকো, ভালো কইরা ঘুমাও দেহি”।
আমি নির্লজ্জ কবি। আয়নার উল্টো দিকে বসে এখনো ভাট লিখছি…