অতিলৌকিক
‘অভিযোগ দেখো শুধু, ভালোবাসা দেখতে পারো না?’
আমার দুচোখ খুলে সঙ্গে নিয়ে গেছে তারপর
কোটরে আরাম লাগে। আলো-হাওয়া লাগে মাঝেমাঝে।
ঘাস বাড়ে। স্নায়ু-অব্দি পৌঁছে যায় তাদের শিকড়
হাতজোড় করি, মণি, জেগে ওঠো আঙুলভাষায়
দেখি—কোনো সাড়া নেই, পাতা পড়ল তালুর ওপর
নবপর্যায়
এতটা চরিত্রে থেকে কী পেলে আদর্শ-ধোয়া জল
সেই তো হারিয়ে ফেলছ, সজ্ঞানে, ভালোও কি লাগছে না
পুরোনো চরিত্রছায়া, সংস্কার, প্রতিজ্ঞা-মহল
তোমাকে অসংখ্যে ভেঙে চেপে ধরছে আনন্দস্খলন
তবু তো সম্পন্ন হল, মিঠে দ্বন্দ্বে মজে রইল মন—
প্রতারণা ছাড়া এই অনুভূতি কদাচ হত না
ক্লান্ত
তুমিও, নাচের ক্লাস, মেয়েদের পেয়ে
মানিমানিকমijযে কী প্রগলভ হয়েছ
শেখানোর কথা আর মনেই পড়ে না
রবিবার এলে পর্দা উড়ে-উড়ে ডাকো পথচারী
এ-বয়সি চোখ কিন্তু স্নেহ পায় ওদের দেখালে
স্নেহ পায়, ফোঁটা পায়
রবীন্দ্রসঙ্গীত পেয়ে ক্লান্ত হেসে ফেলা
এ-তিথি, গো দিদিমণি, তোমাকে পাওয়ার—
সম্মোহিত
এমন কাউকে খোঁজো, যে তোমার দ্বন্দ্বগুলো বেছে
পাতের বাইরে রাখবে, হাসিঠাট্টা জুড়ে বসবে না
তোমাকে, গল্প বলে, অন্যদিকে মন টেনে নিয়ে
দ্বন্দ্বঝোল-মাখা ভাত তুলে ধরবে, বিন্দু-বিন্দু
_________ চাঁদ দেবে ঠোঁটের ওপর
তুমিও, সম্মোহিত, অপছন্দ জানাতে যাবে না
উপার্জন
অন্যান্য জগত ছেড়ে, যদি শুধু কবিতা লেখাই
মনস্থির করি
কে দেবে শব্দের শস্য? ফলন বজায় থাকবে—
______________নিশ্চয়তা কই
মন্বন্তর-দিনে কোন শহরে, গো ভগবতী,
‘ভিক্ষাং দেহি’ বললে ভরে উঠবে ক্ষুধাতৃষ্ণাগার?
ঘুরপথে উপার্জন যা-কিছু আমার
ছবি – পল গোগাঁ