অব্যক্ত আলোকথা
ধীরে ধীরে সরিয়ে রাখি মনখারাপের বিজ্ঞাপন ,
এলেমেলো জং-ধরা পাতা উড়ে যাচ্ছে
বছর কয়েকের দীর্ঘ শ্বাস জমা হচ্ছে অগোচরে লেখা চিঠির প্রান্তরে
অদ্ভুত ভাবে না বলা সব কথাদের এখনও সাজিয়ে রেখেছি ভাঁজ পড়া শূন্যতার খামে
সাবলীল কিছু মৃত কোষের মধ্যে আয়ুরেখা ভারী হয়ে আসছে অথচ
দিনক্ষয়ের পর যাবতীয় পুরোনো আলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে জানালার ফাঁকে ফাঁকে…
মনক্ষয়ের স্বরলিপি
১
ছাদে হাঁটার পরবর্তী সময় চিন্তার স্রোত প্রবাহিত হয় নামহীন মোহনায়
প্রিয় কাগজফুলের গাছ বেড়ে উঠছে তীব্র রোদের মধ্যে আর তার সাথে বেড়ে উঠছে আমার সহ্যক্ষমতা
কাঁটাতারে ঝুলছে অনুভূতির সপ্তম সুর
২
ছন্নছাড়া ভালোলাগার মতো
আপনাকে দূর থেকে দেখার এক একটা স্বরলিপি পাঠ হয়ে চলেছে
ঠিক মৃত্যু নয় অথবা ঠিক মনভালোর বৈপরীত্যও নয়
তবুও এক চলমান অপেক্ষার প্রতিফলন ঘটে চলেছে জীবনে,
এই মেনে নেওয়া
অস্থিরতা বাদ দেওয়া প্রয়োজন, সবটা জেনেও এক নিবিড় শালুকের মতো ভেসে থাকা
৩
কিছু কিছু দিনের কোনো বর্ণনা হয় না শুধু গুটিয়ে রাখা মুহূর্তদের মনে যাপন করি
তাদের কোনো আয়ুরেখা নেই, শিখছি বেঁচে থাকার সন্ধিক্ষণে ক্ষত আড়ালের সমীকরণ
৪
শিরার ভেতরে শব্দগুলো ক্রমশ শুকিয়ে আসছে
একগুচ্ছ মরুগোলাপের মতো
ত্রিকোণ মনযাপনের এই এক অদ্ভুত রোগ যা বয়ে বেড়ানো আজন্মকাল
ছবি – নন্দলাল বসু