আনন্দে যে ছন্দ থাকে
দো-রঙা লাটিমের পাশে
রোদের তৈরি কতগুলো ছেলে,
আমার সমস্ত ক্ষত সারিয়েছে শালিকের কাছাকাছি মাটি
দুপুরে খেতে ডাকা মায়ের ডাক , নিবারণ স্নেহ
পড়ে ছিলাম বননিস্বনে, কতগুলি ফুল শুধু তাকিয়েছিল আমার দিকে
আনন্দে যে ছন্দ থাকে যেমন
এসে পড়ি,সুন্দর পাখি গাছপালার মধ্যে ‘কথা কও’ ডেকেছিল
এসে পড়ি, ফুল হাতে ধরা মেয়েটির মতো কবিতার কাছে।
পুরনো বাড়ি
আমার মাথার ভেতর একটা রাস্তা চলে গেছে
চলে যায় দূর, দেখি আর ফিরে আসতে পারি না
আমার সারা গায়ে খুলে পরে জারুলের আলো
কোথা থেকে আসে এই চেতনা, সহৃদয় আঁক—
আমি কি পাঁচডোরা কাঠবিড়ালির মতো প্রেমিক ছিলাম
নিঃসঙ্গ বৃষ্টি আমাকে কী দিয়েছিল অনুপম তান,
আমার মাথার ভেতর একটা রাস্তা চলে গেছে
ফিরে আসতে পারিনি আর পুরনো বাড়িটিতে
ঋণী
কেবল একটা পাকড়া-মাছরাঙা
ডিঙি-খোওয়া লগির ওপর থেকে দেখে নিচ্ছিল
আমার মৃত্যুকেই প্রয়োজন!
কোনও খিদে কি আশ্চর্য ছিল?
নাকি শুশ্রুষায় এগিয়ে এসেছিল কেউ
খোলা বাতাস এক স্নেহ
জলের ওপর বিলি কাটছে
এসব ছাড়া নিবিষ্ট কই আর
জড়িয়ে ধরতে চাইনি কাউকে—
এইসব নিসর্গ অভ্যাসের কাছে আমি তো ঋণী!