ঝরনাটোলার গান-৬
ভেঙে যাওয়া হাঁস ভেসে যায় দিঘিজলে
সন্ধ্যা নামছে রক্তকরবী গাছে
প্রজাপতি এসে পুরোনো সেতারবলে
বসল একটু বৈধব্যের কাছে
কেউ আজ তাকে আসন কি পেতে দেবে
কুঠার গাইছে কবেকার উলু -ধ্বনি
দমকা হাওয়াকে আখতারিবাঈ ভেবে
জাপটে ধরল উঠোনে সন্ধ্যামণি
শুধু কী বাতাস, সঙ্গে জলের ঢেউ
বহুদূরে কোনো বন্ধুর ঠিকানায়
গোপনে গোপনে ভিজে গিয়ে যেন কেউ
কাঁদছে হয়তো তোমার কান্নাটাই
ললাটলিখনে বরিষণ তার ভারি
এবং বাতাস তাকেই পরাবে ঝড়
ঝরা মহুলের অবারিত আবগারি
খুঁজল চিঠিতে পুরোনো ঘুনাক্ষর
ঝরনাটোলার গান-৭
ময়লা হলেও তুলে ধরবার ধরনে
যে তোমার মুখ করেছে অতীন্দ্রিয়
সেই ছবিটাই শুক্লাদ্বাদশীক্ষরণে
সারাটি জীবন থেকে যায় রমনীয়
যতটা নুনের অধিকারবোধে ঢেউ
তটরেখা ধরে হেঁটে হেঁটে চলে যায়
কিছু কম তার ঝরবে না সরোদেও
যদি তারগুলো ঝাউয়ের স্পর্শ পায়
ঝাউয়ের দৃষ্টি ঝাপসা হয়েছে, জানি
দেখার ওপারে থেকে গেল কোনও চোখ
পেরিয়ে হয়তো জোয়ারের আনিপানি
যে চোখ বলত নোঙ্গরের কথা হোক
ঝরনাটোলার গান-৮
পিছমোড়া মেয়ে বেড়াতে এসেছে খাদে
ভাবেনি কখনো আসা যাবে এইখানে
শৃঙ্গজয়ের নিশান কে যেন বাঁধে
আরেক নিশান ভিজছে রক্তস্নানে
অনেক উঁচুতে বিজয়ী পতাকা নাড়ে
শিখর জয়ের লেখা হয় ইতিহাস
তখন হয়তো দারুণ অন্ধকারে
খাদের শীর্ষ ছুঁয়েছে বনপলাশ