চয়ন দত্তের কবিতা
প্রতিটি গাছকে যত অসহ্য আমায় নিয়ে তবু বারবার এ ফিরে ফিরে আসা জমানো রাগ , লুকোনো ক্ষোভ তবু দেখা হতেই , একগাল হাসি যেন বাঁধ ভাঙা স্রোত নিমেষেই বদলে যায়…
প্রতিটি গাছকে যত অসহ্য আমায় নিয়ে তবু বারবার এ ফিরে ফিরে আসা জমানো রাগ , লুকোনো ক্ষোভ তবু দেখা হতেই , একগাল হাসি যেন বাঁধ ভাঙা স্রোত নিমেষেই বদলে যায়…
দিনলিপি বুড়িপিসিমার শাড়ির মতো আকাশ আজ মরা কার্তিক , ভাসামেঘ আর তারচেয়েও ভাসা ভাসা বুলির চোখ গতবছরের সেই যে সর্দিকাশিহাঁপ কর্কট মাটিতে থাকলে এতদিনে হয়তো সূর্যমুখী হয়ে ফুটতো বুলি বাঁচবে…
রক্তাক্ত পৃথিবীর মধ্যে বাস করে রক্তের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার অনিবার্য হয়েই থাকে। তবু কথা বলে যেতে হয়। শব্দ নাকি ‘ব্রহ্ম’ সাক্ষাৎ। আর ‘ব্রহ্ম’ সাক্ষাৎ ‘নেতি’। শব্দ তবে ‘নেতি’? কিছুটা হয়তো…
মানভূম জার্নাল: “ও অশ্বত্থগাছ, নগর অসুখ কেন ছোঁবে আমার এ গরাম দেহ” পাঠক এবং লেখকের যৌথ মননেই সার্থকতা পায় একটি বই। এই সার্থকতা প্রাতিষ্ঠানিক বা অর্থের দিক থেকে যত না…
১ হাতের ওপর হাত রেখে ‘ ওয়ে টু আমেরিকা ‘ বলাটা , যতটা সহজ – তার চেয়ে একশো গুন বেশি সহজ আমার অ্যাবডোমিনালে ওই গরম সূঁচের দাগ ! হাইওয়ের প্রচণ্ড…
ক্রিকেটপ্রেম ১ স্পিন তো থমকে আসা যুবতীর রোঁয়া ওঠা মুগ্ধতা যেন— পিচ ছুঁয়ে মনে পড়ে আরও কিছু পথ, ঘুরে এলে হয়… আরও কিছু রুমাল হারালে তবে জমে যাবে খেলা ২…
বইটার নাম “ফারাক“, প্রচ্ছদে অক্ষরগুলো যথেষ্ট দূরত্বে রয়েছে, যেন ফারাক কথাখানার বিস্তার বিশাল! এই কথাটাই এক এবং একমাত্র সত্য। কবি বইয়ের শুরুতেই একথা স্বীকার করেছেন যে ঠিক বাস্তবের আকার আকৃতির…
বিসর্জন-শব্দ ধ্বনিই সার? প্রতিবার আশ্বিন আসে। সমস্ত দেহজবৃত্তির কাদামাটি চড়ে বাঁশ খড় মোড়ানো হাড়ের গায়ে। তারপরে কবে একদিন, সব ক্ষয়ে যায়। চোখ, মুখ, চুল, বুক, পেট, ঊরু, এমনিই পাঁচভূতে গিলে…
১ গ্রামে কিংবা শহরে নদীর মৃত্যু উৎসবে, এসো খুন– মুখোমুখি বসি আগুনে। ২ দুটি ছায়া দুই জানালায় দাঁড়িয়েছি বৈধ সম্পর্কের বাইরে ৩ সে অনেক কথা তখনও তোমরা গুহার উলঙ্গ শিশু…
নজরদানি কতদূরে চলে গেছি আমরা বোঝাতে এই মিলনের আয়োজন। কতটা দূরত্ব পেড়ে সময় গিয়াছে আমাদের মাঝখানে ছিঁড়ে! ছোট ছোট বিরহের সমষ্টি গুলোই বিচ্ছেদ ঘটাতে বাঁধা দ্যায়। ভালোবাসা বাকি থেকে গেল…