যানজটে বিভ্রান্তি
সমাজে পথ চলতি মানুষদের থেকে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ। শহর থেকে মফ:স্বল, বড় রাস্তা থেকে অলি-গলি সবস্থানে চিত্রটা প্রায় একই রকম।
সমাজে বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে ক্রমাগত। এর জন্য দায়ী কারা? আগে মানুষেরা বডি-রিক্সা, ভ্যান-রিক্সাতে যাওয়া আসা করতো কিন্তু এখন সময়ের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার ভয়ে বেছে নিয়েছে যন্ত্র চালিত বাহন।
যে সকল শিক্ষিত বেকারেরা আছে, তারা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেনা। যদিও বা চাকরির সন্ধান পাচ্ছে, যোগ্যতা থাকলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মিষ্টি খাওয়ার নামে আবদার করে চাওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়ার সামর্থ্য অনেকেরই নেই, তাই পিছিয়ে পড়ছে অনেক যোগ্য মানুষজন।
কিন্তু সমাজে টিকে থাকতে হলে, সংসার চালাতে গেলে অর্থ উপার্জন করতেই হবে। অনেকেই অর্থ উপার্জনের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে যন্ত্র চালিত বাহন “টুকটুকি” অনেকে আবার “টোটো” বলে। কেউ অর্থ জমিয়ে নিজে টোটো কিনে চালাচ্ছে তো কেউ আবার অন্যের গাড়ি ভাড়া নিয়ে নিজে চালিয়ে অর্থ উপার্জন করে সংসার চালাতে ব্যস্ত। এই গাড়ি গুলো রাস্তাতে চালানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র প্রয়োজন হয়, যা সকল গাড়ি চালকদের কাছে নেই। এই সময়ে মানুষদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে “টোটো” গাড়ি। কিন্তু সময়ের দৌড়ে আর অর্থের অভাবে বেশি পিছিয়ে পড়ছে সেই সকল মানুষ গুলো, যারা আজও বডি-রিক্সা/ভ্যান-রিক্সা চালাচ্ছে। বডি-রিক্সা/ভ্যান-রিক্সা-তে যাত্রীদের সংখ্যা এখনকার সময়ে এসে হাতেগোনা। সমাজে যানজটের কারণে পথচলতি মানুষের বিভ্রান্তির শেষ নেই। এর কি কোনো সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব? এই শিক্ষিত বেকারদের বেকারত্ব দূর করতে সম্বল হয়েছে”টোটো”। এর জন্য দায়ী কারা? পরবর্তী কালে বডি-রিক্স/ভ্যান-রিক্সা চালকদের সংসার চলবে তো? ভাবুন-ভাবুন, ভাবনার বিষয় আছে, শুধু মাত্র নিজেদের কথা চিন্তা করতে গিয়ে আর অন্যদের পিছিয়ে পড়তে দেখতে-দেখতে কোনো সময় আমরা পিছিয়ে পড়বো না তো?
এখনো সময় আছে, সময় থাকতে ভাবুন।