সময়ে অ-সময়ে, ঝরে পড়া পাতা
১৬ই, জুন ২৪
কে শুনতে চায়, শোনো। শুধু শোনা সহজ নয়
জিভের বদলে আরেকটি কান, মোট তিনটি কান
তবুও কম পরায় খেনখন, পিপিলিকার মত শব্দ।
লাল কালো সাদা, আবার না লাল, না সাদা কালো।
পিলপিল করে ঢুকে পড়ে মগজের অবস্থিত গোমেজ
লেনে। শুনে চলার পরীক্ষামূলক স্থিতি। যদিও এসব
মনে নেই
জানি পৃথিবীর বুকে ফোঁস করে ওঠা ছাড়া গতি নেই…
৮ই জানুয়ারি ২০২৩
শুকনো রক্তের ছোপ সিঁড়ির ওপর
ভেজা ন্যাকড়া দিয়ে মুছে ফেললেই
ছাদে উঠে যাওয়া যায় দ্বিধাহীন।
একটি রহস্য, শুধু আমি জানি
আর কেউ জানবে না কোনদিন
ঠিক মায়ের স্নেহের মতো নিশ্চুপ…
২৮শে জুন ২০২৩
ঝুঁকিহীন শীতল দৃষ্টি নিয়ে দেখেছি যে তাচ্ছিল্য
এ শহরের সবচেয়ে উঁচু অট্টালিকার মতো সুন্দর তাঁর কথ্য।
আমি ভেসে যাচ্ছি হাওয়ার দিকে, ধরে রাখো
অন্তত একশো বছর পর ফিরতে হবে বলে…
পাট ফুলের মাঠ, পড়ন্ত চাঁদে ভেজা পুকুর, রোদ
মোছা দুটো পৈঠা। প্রতিদিনের ভেঙে যাওয়া
আমাদের মত আরো কত অনু-পরমানু ভেঙে যাওয়া
দুটি গাছ কিছুটা দূরত্বে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে, একে অপরকে
ছুঁতে চাওয়ার আকাঙ্খা আদরের ইচ্ছে প্রতিশ্রুতির অবহেলায় মাঝখান দিয়ে বাতাস বয়ে যাচ্ছে, শূন্যতা অতিক্রম করার অক্ষমতায় দাউদাউ করে জ্বলে গাছেদের বুক।
এইসব দেখতে দেখতে আমি খালি ভেসে যাচ্ছি হাওয়ায়
অন্তত একশো বছর পর ফিরতে হবে বলে।
ছবি – লেখক