কাছের গদ্য দূরের কবিতা
জানালা দিয়ে যতটুকু আকাশ দেখা যায় ততটুকুই আমার আকাশ। দরজার বাইরে আলগা পিরিত ওত পেতে আছে। পাশের বাড়িতে বিয়ে।মন্ডপ সাজানো হয়েছে। রজনীগন্ধার মালা গাঁথা হয়েছে গোলাপ মিশিয়ে।সাত ফেরে,সাত বচন, মাথার ওপর ধান-দুর্বার ঝরে পড়ার নাম যদি বন্ধন হয় তবে বলি,হে অগ্নি, আপনার নীরব সাক্ষী কোনো কাজে আসেনি আমার।হে স্বর্ণ, আপনার ঊজ্বলতা ঢেকে দিয়েছে মানুষের হৃদয়ের কালো শালু। প্রসাধনী সব ছুড়ে ফেলে দিয়েছি। ছুড়ে ফেলেছি স্বর্ণ,শিবিকা,সম্ভ্রম, সত্য,ঊষা ও প্রত্যুষ!এখন আনন্দ,দু্ঃখ অনুভবে দেরি হয়। আমার অপলক চেয়ে থাকার ভিতর বটফল খসে পড়ে, শিমুল ফাটে। আমার ঘুমের ভিতর ঘটেছে কত যে নক্ষত্রের মৃত্যু !মৃতেরা ঢুকে পড়ে আমার শরীরে তাদের ঘুম ফেলে গেছে…
পাশ ফিরে শুই।পাতা থেকে পাতায় টপ্ টপ্ শিশির গড়ানোর শব্দ ।ভোর হতে এখনও দেরি।রাত্রি ক্রমশ দীর্ঘ হয়ে উঠছে!মাথার কাছের জানালা খুলে দেখি চারিদিক অন্ধকার! সকাল হলে, রোদ ঢুকবে ঘরের ভিতর!প্রাকৃতের ছায়া হব। আপাতত বাঁশি শুনি।এই অন্ধকারে যে বাঁশি হয়েছে মোহিনী সে কি জানে আমার পালাবার পথ নাই,নাই কিছু হারাবার!