এই বিবাহ নিয়ে নেকুপুষুসুন্টুনিমুন্টুনি করে লাভ নেই। আজকের ছেলে মেয়েরা জেনে গেছে, এই প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার নির্দিষ্ট অনেকগুলো পয়েন্ট আছে সিঁড়ি ভাঙা অঙ্কের মতো, সেগুলো পাশ করলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসা যাবে। শুধু অর্থ দিয়ে লিঙ্গবাদী হয়ে লাভ নেই। তাতে হয়তো আপনাকে অষ্টাদশ বর্ষীয় কোনো ছেলে বলতে পারে, ‘কাকা তোমার সেক্স নেই?’ তুমি চেয়েই রইলে অপলকে।
হিন্দুত্ববাদী যুবক প্রশ্ন করবে! ভবিষ্যৎ ভয়ঙ্কর। একই ভাবে কোনো সেকু বলল, বাঙালির কী হবে? সেই চিন্তায় কতগুলো চা খাওয়া হয়ে যাবে, খেয়াল থাকবে না।
সত্যবাদী হয়েও লাভ নেই। এই তিন দশক পার করে বুঝেছি, মগজ আর মনের গুরুত্ব কতটুকু! সামাজিক দায় তো অনেক হয়েছে। যারা লিভইন করে বা সমজাতীয় সম্পর্কে আছে তাদের প্রতি আমার বিশেষ নজর!
বহুবছর ধরে নারী, পুরুষের কাছে কেমন অত্যাচার পেয়েছে? সেই আলোচনায় নাই বা গেলাম। মেয়েরা বুঝেছে পুরুষবর্জিত জীবন কেমন ভাবে কাটাতে হয়! তারা মনে মনে কী ভাবে? ছেলেদের নিয়ে?
পুরুষ বাঁচাও কমিটি তৈরী হয়েছে। মেয়েরাই সেই কন্ঠের আওয়াজ তুলেছে। পুরুষ বলতে পারছে না। বাইশ বছর মেয়ের হাতে বত্রিশ বছরের ছেলে কেমন সম্পর্ক হয়ে যায়…
আসলে পছন্দ করি – প্রেম, অভ্যাস আর শারীরিক সুস্থতা এবং খাওয়ার লোভ, নিশ্চিন্তে থাকার জীবন কে না ভালোবাসে?
একটা সময় পর আমরা বুঝতে পারি, আমাদের দৌড় কতটা?
বেঁচে থাকার সময় ফুরিয়ে আসে, তখন একই সঙ্গে কত স্বপ্ন পূরণ হয় না এই ভেবে বিষাদে ডুবে যাই। তারপর মাতিয়ে দিই নিজেকে, সন্ধ্যে হলে আসর বসে। আকন্ঠ মদ না খেলে ঘুম আসে না।
এইরকম টালমাটাল সময়ে যখন সমস্তকিছু বুমেরাং হচ্ছে, তখন আমরা রাষ্ট্রের দোহাই তুলে দিব্যি থাকি খোশমেজাজে। কলকাতায় হকার উচ্ছেদ হয় তখনই যখন কোনো চাকরির পরীক্ষা হয় না। বাংলার টেলিভিশনে দখলমুক্ত কলকাতার ফুটপাতের স্লোগান তোলা হয়। আমরা ব্যাক্তিগতভাবে এক ইঞ্চি সাফার করি না। যে মানুষটা প্রেম করে স্বপ্ন দেখে, সুস্থ সৎ ভাবে বেঁচে থাকার, তাদের আমি ভালোবাসি।
নারী পুরুষের জটীল কুটীল সম্পর্কের রসায়নে সবাই তো ঢুকতে পারে না। নারী পুরুষ এই শব্দগুলোর উপর একটা শুদ্ধ শব্দ আছে তা হল মানুষ। এই মানুষের আশ্রয় হল মন , যা ভীষণ মূল্যবান। তার গুরুত্ব যারা দেয়, তারা তো আমার আত্মীয়। হঠাৎ করে পথের বাঁকে শিউলি ফুল দেখে যেমন মন খুশি হয়ে যায় বা একটা কুকুর আর বিড়াল যখন একই সঙ্গে শুয়ে থাকে পাশাপাশি তখন কেউ একজন বলল, কেমন আছো? তাঁর মুখের উজ্জ্বলতায় আমি বাঁচি! এই বেঁচে থাকার প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র বিবাহ নয়। আরও অনেক পথ তৈরি করেছে সময়ের সাথে সময়।