প্রতীকী ছবি

…এত ভয়ানকভাবে শুদ্ধ করে অগ্নিস্নান, তা কেড়ে নেয় অস্তিত্বই।
এমিল চ্যোরান

 

তারপর কী ঘটবে কারো জানা নেই
তারপর কী ঘটবে কারো জানা নেই
হুংকার? না কাতরানিতেই শেষ আমাদের?

নিউক্লিয় বিস্ফোরণে যে আলো উদ্ভূত তার নাম ফ্ল্যাশ-
তাই কি জ্বালাবে তোমরা? অন্ধকারে হাড়ের মশাল
তুলে ধরবে না? যখন হাজার হাজার হাড় চারিদিকে!

তুমি ছুটে আসছ আমার দিকে – গুঁড়িয়ে যাচ্ছে সৌধের চুড়ো
প্রিয় পৃথিবী, রক্তের নদী; তোমাকে আমরা ভালোবাসতাম
একটা সবুজ কিন্ডারগার্টেন ভরে গেছে ভস্মে আর ধোঁয়ায়

অন্ধকারে হারিয়ে গেছি আমাদের আলোয় নিয়ে যাও
অন্ধকারে হারিয়ে গেছি আমাদের আলোয় নিয়ে যাও
অন্ধকারে হারিয়ে গেছি আমাদের আলোয় নিয়ে যাও

 

ইতিহাসের পোয়েটিক জাস্টিস হচ্ছে বিপ্লব।

*

দরকার ছিল বিপ্লব, তার বদলে আমরা বেছে নিয়েছি আমোদ।

*

আগের শতাব্দীর শেষ দশকে জন্মে, নতুন শতাব্দীর দুটো দশক ধরে আমি বেঁচে আছি।

আমি এই কথাটা বুঝবার পরেও বেঁচে ছিলাম।

*

ইভান কারামাজভ তার ভাইকে বলেছিল এক মহাবিচারকের কথা। সে অনেকদিন আগের কথা।…

সেই বৃদ্ধ বিচারক পুনরুত্থিত যিশুকে জানাচ্ছেন, তাকে পুড়িয়ে মারা হবে। এবং এর কারণ হিসেবে বলা হয়, চার্চ থেকে আমরা অনেক দিন হল খ্রিস্টকে বের করে দিয়েছি। তার বদলে সেই সিংহাসনে বসিয়েছি এক ও অদ্বিতীয়, মহামহিম, মহাজ্ঞানী শয়তানকে।

…এই শতাব্দীও সেই কাজই করেছে।

*

ব্যক্তির বিদ্রোহ, সমষ্টির বিপ্লব।

*

লেখক লক্ষ করেন ব্যক্তিকে, বিপ্লবী লক্ষ করেন সমষ্টিকে।

*

মার্সেল দুশাঁ বলেছিলেন, ‘আমি এইসব রেডিমেড তোমাদের চলতি নান্দনিকতার মুখে ছুঁড়তে চেয়েছিলাম! আর তোমরা এরই মধ্যে নান্দনিকতা খুঁজছ?’

…ছুঁড়ে মারি তোমাদের মুখে যা তোমরা আমায় বাড়িয়ে দিচ্ছ! নতুন প্রযুক্তি, খেলনাপাতি, মাস-কালচার, মাস-মিডিয়া – আরো যা কিছু।

*

কমলকুমার মজুমদার বলেছিলেন, ঠাকুর করুন তোমাদের ধড়ে শকুনও না বসে। কলকাতার উচ্চবিত্তদের উদ্দেশে ছিল কথাটা।

*

সমস্ত মূল্যবোধ আজ নষ্ট হয়ে গেছে। যেমন একজন সুররিয়ালিস্ট ভাবেন, সমস্ত মূল্যবোধের ওপারে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু তারপর তিনি নিজের মূল্যবোধ তৈরিও করে নেন।

আমরা তার বদলে দুঃস্বপ্ন শুরু করে দিয়েছি।

*

“শেষ বিচারের দিনে তোমাদের যে দশা হবে, তার চেয়ে সোদম ও গোমরাহ-এর দশা বরং বেশি সহনীয় হবে।” (নিউ টেস্টামেন্ট)

*

প্রত্যাখ্যান জমতে জমতে প্রতিরোধ।

*

পরমাণু বোমা সংক্রান্ত দুটো ছবি আছে।

একটা হচ্ছে আকাশব্যাপী মহান ছত্রাক-মেঘ, যা দেখে গীতার শ্লোক বলতে ইচ্ছে করে, ‘সহস্র সূর্যের চেয়ে উজ্জ্বল…’

অন্যটা হচ্ছে নাগাসাকির রাস্তায় পড়ে থাকা শিশুর ঝলসানো তেজস্ক্রিয় শব, যার পর আর কবিতা হয় না।

*

বাংলা ভূ-ভাগেরই এক সাইকোপ্যাথকে গিরীন্দ্রশেখর বসু পরীক্ষা ক’রে আইপিএস পঞ্চানন ঘোষালকে বলেন, “ইনি এক বিচিত্র অবসেশনে ভুগছেন, এর জিভ উপড়ালেও আপনি এর পেট থেকে কথা বের করতে পারবেন না।” আমার এরম লোকের প্রতি সমীহের শেষ নেই।

*

সারাজীবন ধরেই আমি কারও কাছে – কে সে আমি নিশ্চিত নই, কিন্তু যে কেউই সে হতে পারত – বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে চেয়েছি; আমার ঐকান্তিকতা আমাকে তার থেকে চিরতরে সরিয়ে দিয়েছে কেননা আমি এক বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে গ্রাহ্য হই।

*

আমার সন্দেহ ফুলকি হয়ে জীবনময় উড়েছে এবং সমস্ত আস্তিক্যে আমার দাউদাউ আগুন ধরে গেছে।

*

– বৈজ্ঞানিক সজ্জাকে বিশ্বাস করব? তাও কি গ্রাহ্য হবে? আমাদের ভৌত নিয়মগুলি –  মাধ্যাকর্ষণ, আলো ও বর্ণবিজ্ঞান, তাপ ও রাসায়নিক ক্রিয়া, স্থান ও সময়ের নিত্যতা… এদের বিশ্বাস ক’রে ফিরে আসা যেত; হয়তো যেত! কিন্তু এরা এত নিরপেক্ষ, অসংবেদনশীল… সন্ধানী আলো ক্রমাগত স্বপ্নের অন্ধকারে ঘুরে যায়।

*

চেনা লোকগুলি… তারা নিজ নিজ অসুখ আমাকে উপহার হিসেবে, ভাগের অংশ হিসেবে দিয়ে যায়; জীবন আমার এই রিক্ততাতেই ভরে উঠেছে।

*

এমন কী জানব যা আমি আগেই জানিনি, কী বলব যা এতদিনে বলা হয়নি? কী খুঁজেছি যা আমাকে কখনোই দত্ত নয়, সৃষ্টির চাবি আমারই মধ্যে ডুবে যায়, হাতড়ানির হাত ঢুকিয়ে দিয়েছি – লেলিহান আগুন যখন এক কম্পমান নাটক।

*

সূচীমুখ প্রশ্নের খরখরে রাজ্যে ঢুকে আসি ও সেই অনিঃশেষে পৌঁছাই যেখান থেকে নক্ষত্রমালা আবার জেগে উঠবে।

*

এই দানবিক ব্যবস্থা – না’হয় বিশ্বব্যবস্থাই বলি- তার দায় আমারই উপর অর্পিত হয়েছে অথচ আমি এর জন্য কোনোভাবে দায়ী ছিলাম না।

*

সুন্দরতা, তাকে কি শেষবার আপন ক’রে নেব?

*

সত্য চিরন্তন নয়, তার সাহিত্যমূল্য নেই – তাৎক্ষণিক সত্য-মূল্য আছে।

*

আবার এগুলি খুলে দেখা। কবিরা এসময় বেশ্যার মতো হয়ে যায়… কেবল সেইসব বেশ্যাই যারা তোমাদের তৃপ্ত চোখ সইতে না পেরে পাথর হয়ে গেছে।

*

ঘুম … অল্পে অল্পে ছড়াতে-থাকা আতঙ্কঅঞ্চল।

*

যা চাই তা হল কেওস, চাকরানিও রানির যৌন-মালকিন হতে পারে! (ফরাসি বিপ্লব যতক্ষণ অরাজক ততক্ষণ ভালো। )

*

শেষ বলে কিছু থাকতে পারে না। চলমান চিন্তা ‘থেমে’ গিয়ে (ভাবটা সেরকমই থাকে) ‘শেষ’-এর মূকাভিনয় করে। কিন্তু তা আবার শুরুও হয় এবং ধারণা নিয়ে ফের ছেঁড়াকাটা চলতে থাকে। -আমরা শেষকে কখনো অভিজ্ঞতায় পাই না।

আমাদের জীবন এজন্যেই অনন্ত।

*

ভাবনারত যন্ত্র, ক্ষুব্ধ আত্মা, নড়বড়ে বিবেক ।

*

মাকড়শা? মেধাবী, নিষ্ঠুর, আত্মসর্বস্ব, বিচ্ছিন্ন, স্থাবর, ক্ষিপ্র, বিস্তৃত, প্রত্ন, সমঞ্জস – সবই এই প্রাণীটির মধ্যে নিঃশব্দে বলা হয়ে গেছে।

*

ভিক্ষে করার অভ্যেস।

*

ভুলে যাওয়ার সংস্কার, বহতা জীবন। কতই না কৃতজ্ঞ আমি আমার বিস্মৃতির কাছে!

*

এবং আমায় ঠেলে তারা বের করে দিয়েছে। বেঁচে গেছি। সেই সব অঞ্চলে আর কখনো যাওয়া হবে না বুঝে আমি নিজেকে চুপ করিয়ে, ঘুম পাড়িয়ে রাখি।

*

আজকাল সত্যি ক্লান্ত হয়ে যাই। অনেক আজেবাজে ঘুরেছি, অকারণ খেটেছি। এর-সাথে ওর-সাথে দেখা, অপেক্ষা, বিরক্তি, বাজে বকবক।…

আমার নির্মোহ হওয়া উচিত। কীসের যন্ত্রণা বোধ করি জানি না। ভেতরে ভেতরে রক্ত পড়ে। এত ছটফট লাগে, কী জন্যে, কার জন্যে? কী পাইনি বলে সর্বক্ষণ অতৃপ্তি; কাকে ভুলে যেতে হয়েছে বলে এত বিষাদ, তেতো স্বাদ।

*

স্যাটায়ার? বিভ্রান্ত সামাজিক মনে বিপ্লবী চিন্তার বীজাণু ঢুকিয়ে দেওয়ার নিরীহ ছুতো, বিটকেল উপায়।

*

আশানুরূপ ঘটনা, আশানুরূপ মানুষ, নিরাশ জীবন।

কেউ প্রশংসা জুড়লে ফ্ল্যাটার্ড বোধ করি – তারপরেই সংশয় শুরু হয়। নাম্বনেস।

বড় কষ্ট অনেকদিন বেঁচে থাকা, কেননা সব পালটে যায়।

আমার স্মৃতির একটা বড় অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ক্রমশ আরো নষ্ট হচ্ছে। এভাবে আমার আত্মা কোলাহলহীন আরামে, পচনে ডুবে যেতে পারছে – হয়তো এবার থেকে আমি পুরো সময়ের লেখকের জীবন কাটাতে পারব।

*

স্তব্ধতা আর জমাট- এই দুটো শব্দই খালি মনে আসছে।

হাজার বছরের নিঃসঙ্গতা নিয়ে একটা পাথরমূর্তি চুপ করে থাকে। ওর ভাবনা ধরতে পারা মৃত্যুকে বুঝতে পারার মতোই।

রহস্য – আঁধার – প্রতিরক্ষা।

*

বস্তির লুম্পেনদের বন্ধু ও রাজা হওয়া চাই।

*

পাসোলিনি প্রথমে রূপকথা শোনায় (ট্রিলজি অব লাইফ) তারপর বাস্তবটা বলে। (- সালো।)

*

শান্তি, সূর্যহীনতা, ঘুম।

*

পাশবিকভাবে বাঁচা হল সবচেয়ে উন্নত বাঁচা, পশুর আবেগে রেকলেস ভাবে এগিয়ে যাওয়া। কাউকে মেরে হোক, কিংবা নিজের হাত/পা কিছু হারিয়েও হোক – তুমি বাঁচবে।

বৃথাই লিখছি। কেননা দুর্বল ও সূক্ষ্ম নার্ভের লোকরা এটা পারে না। এর বদলে তারা আত্মহত্যা শুরু করে দেয়।

*

আসল প্রশ্নগুলোর কাছে কখনো যেতে নেই। গেলেও পালিয়ে আসতে হয়। আর আমি ওগুলোর সঙ্গে বাস করেছি, জাল ছড়িয়ে স্থির থেকেছি, মাঝে মাঝে টপ করে এক আধটা পড়ে-পাওয়া সমাধান ভক্ষণ করেছি!

*

নিজের কাছে কথা দেওয়া আছে – নিজের দুঃখের কাছে। দুঃখগুলো নিয়েই লোকে বেঁচে থাকে, দুঃখ – যা হয় তার জীবনপ্রণালী,  তার চিন্তা ভাবনার সিঁড়ির ধাপ।

*

তাঁর আত্মপ্রেম তাঁকে পাগল না বানিয়ে শিল্পী বানায়।

*

কাউকেই বিশ্বাস করতে বা ভালোবাসতে গেলে আমার ইগোয় লাগে। যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা পথে পথে গর্ত খুঁড়ে রাখে – কাপুরুষতা জেগে ওঠে।

*

আমি অনেক অন্ধকার মাঠ দেখেছি, নদীর তীর দেখেছি, কিন্তু সেগুলি শ্মশান ছিল না। শ্মশানের প্রতিমা আমার মনে কিন্তু সাক্ষাত, জাগ্রত ভাবে রয়েছে।

*

এবং এটুকুই হচ্ছে তোমার পুঁজি, তোমাকে যা ভরাট, শান্ত, নিজের কাছাকাছি করে তুলবে।

*

বাঙালি মধ্যবিত্ত বাড়ির সন্তান হিসেবে ভয়ানক হীনমন্যতায় ভুগতে হয়। তাকে কম্পেনসেট করতে পান্ডিত্যের ফাঁপা মহিমা আরোপ করে কেউ কেউ। এই নির্মাণেও গলদ থাকে – নিজের কাছে সে ধরা দিয়ে ফেলে।

*

বাস্তবের সামনে নয়। বাস্তবের মধ্যে।

*

আর মানুষ কতদূরই না ভাবতে পারে, কত নিষিদ্ধ ভাবনা আমার মুখে পরাল এক মিটমিটে হাসি।

*

বেইমানি করতে পারে না একজন সাজা-পাওয়া লোক।

*

আবার রোগ ফিরে আসতে পারে, তখন আবার কেমোর দরকার পড়বে।

*

স্বপ্নে যেভাবে সব কিছু ছড়িয়ে যায়, তারই উলটোবাগে সংক্ষিপ্ত মার্জিত প্রতিচ্ছায়া হচ্ছে বাস্তব।

*

পুরো জীবনটাই কিছু হতে চেয়ে কিছুই না হতে পারতে থাকার অপূর্ব এডভেঞ্চার। এরই মধ্যে প্রেম-রক্তারক্তি-হিংসা-রাগ-ক্ষমা, না নেওয়া শোধ ও আনুগত্য, বিশ্বাস ও প্যারানোইয়া, দুয়েন্দে ও দুঃস্বপ্ন, রগড়ানি ও ঘষ্টানি, বারুদ ও গোলাপ, আগুন ও সমুদ্র।

*

আকাকি আকিয়েভিচের কুকুরতুল্য মৃত্যু – শেষে পিটার্সবুর্গের রাস্তায় তামাশাযোগ্য ভূত হয়ে ঘুরে বেড়ানো।

*

যেন কোনোদিন সঞ্চয়শীল মিডিওকার হওয়ার চেষ্টায় মেতে উঠো না।

*

হৃদয়খোঁড়া নাটক, সত্যের মুহূর্ত।

*

তারা আকাশের তলায় বাস করে- সুতরাং মহাজাগতিক কারাগারে বন্দি।

*

স্বর্গের বাসিন্দারা স্বার্থপর, আদুরে; তাদের ফিলোজফি নড়বড়ে হতে বাধ্য। বরং নরকের পাহারাদার কুকুর হয়ে জীবন কাটানো আমি কামনা করব, যাতে আগুন ও মাংস রয়েছে।

*

পৃথিবীও আমার সঙ্গে হাঁটে, চলে, নড়ে, চিন্তা করে।

*

আমি একটা নরকের শুরু হয়ে আছি – দিগন্ত অবধি আমার অভিশাপের কালো মাখানো।

*

খুবই আপত্তিকর আমার স্বপ্নগুলো, চুক্তি করেছে – আমি তাদের সেই মতো ভুলে যাই।

*

একটি খারাপ লোকের ব্যক্তিগত আলাপচারিতার পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে।

*

কবিতা ও শ্লেষ তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছে আত্মহত্যা থেকে।

*

এক আতঙ্কবাদী মূল্যবোধ, সহস্র সূর্যের দরদ, সুইসাইড বম্বারের জীবনবীক্ষা।

*

তিরিশ বছর গরাদের ওপারে থাকা ফ্রিয়েস্ট স্পিরিট মার্কি দ্য সাদের অট্টহাসি ফুরোয় না – তাঁরই উল্টোদিকে কবরে শোয়া খ্রিস্ট অপেক্ষা করেন পুনরুত্থানের জন্য – তাঁর হাতে জপমালার বদলে একটি কার্তুজের বেল্ট এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিজ নিজ মানসপটে কল্পনা করে নিন।

*

একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট যুক্তি আমি পেয়ে যাই, তাকে ডিসকার্ড করে দিই। উদভ্রান্ত।

নিজের ইচ্ছে বলে কিছু নেই? সবকিছু আরো খারাপ হয়ে যাবে বুঝতে পারছি। তবুও আশা; না আশা নয়, এক ধরনের কুসংস্কার আমাকে আরো একটু অপেক্ষা করে যেতে বলছে।

*

পচধরা মগজ তার চিন্তাগুলো করে আর স্নায়ুভরা বিপুল চোখে তাকায়।

*

রাত্রি আমাদের মা – সবাইকার গর্ভ।

*

নিজের প্রতিফলন দেখবার লজ্জা।

*

স্বপ্নের আতঙ্ক, রগড়, আকর্ষণ। সে সর্বদাই সত্যির খুব কাছে থাকা চতুর মিথ্যুক।

*

মৃত্যু এক রকম উন্মাদনা। যুক্তির পরিধি এখানে থমকে, জমে যায়।

*

কান্না ছাড়া আর কিছুই থাকে না – বাকি সব তার সামনে জোর হারিয়ে একেকটা লহমা হয়ে যায়। – অজস্র, অজস্র কান্না।

*

গর্ভ কিংবা কবর।

*

জগতের কিছুটা দায়িত্ব তোমাকে দেওয়া হয়েছে। তুমি যা ভাবো, জগত তাই হয়।

*

প্রশ্ন তোলার বিলাসিতা করতে পারছি না। আমার কাজ প্রশ্নদের জঙ্গলে ঠিক পথ খুঁজে পাওয়া।

*

ঠিক লেখা ঔচিত্য থেকে হয়।

*

ভালো লাগলে শেয়ার করুন

আরও পড়ুন

Leave a Reply